ধর্ষণ মামলায় পুলিশের এএসপি সোহেলর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩৫ PM , আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩৫ PM
সরকারি এক নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঘটনার পর সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বরখাস্ত করা হয়। তিনি ৩৬তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল।
জানা যায়, গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই সরকারী নারী কর্মকর্তা। এরপর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কমিটি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় সুবাদে ভুক্তভোগী ওই নারী সাথে পরিচয় হয় এএসপি সোহেল উদ্দীনের। পরে তার সঙ্গে তার বিয়ের কথাও হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে।
অভিযোগে বলা হয়, ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, সোহেল উদ্দীন আগেও বিয়ে করেছিলেন। ওই স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় সাময়িক বরখাস্তও হন তিনি।