হিসাবরক্ষককে পিটিয়ে মহিলা কলেজের প্রভাষকের অদ্ভুত কাণ্ড

সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজ
সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজ  © ফাইল ছবি

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজের হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে জৈষ্ঠ্য প্রভাষক আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে। বুধবার (৩১ মে) কলেজে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ফেসবুকে লাইভে এসে অদ্ভুত কাণ্ড করে বসেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, বুধবার আকতার নামের এক ব্যক্তি সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজের হিসাবরক্ষক আজাদের অফিস কক্ষে কথা বলে চলে যায়। এরপর ওই ব্যক্তিকে কেন বসতে দেয়া হল বলেই হিসাবরক্ষককে মারধর শুরু করেন ভূগোল বিষয়ের জৈষ্ঠ্য প্রভাষক সালাম। একপর্যায়ে হিসাবরক্ষক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে অন্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

ঘটনার পর প্রভাষক পালানোর চেষ্টা করলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনজুর আলম তাকে ডেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। পরে অভিযুক্ত প্রভাষক নিজের দোষ ঢাকতে ফেসবুকে লাইভ চালু করে মিথ্যা-ভীতিকর তথ্য দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হিসাবরক্ষক কামরুল ইসলাম আজাদ বলেন, অফিস কক্ষে বসে দাপ্তরিক কাজ করার সময় আকতার নামে ব্যক্তি এসে চেয়ারে বসেন। কিছুক্ষণ বসে চলে যান। এরপর আব্দুস সালাম স্যার এসে আকতার কেন আসলো বলেই এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। কেন মারধর করা হল আমি জানি না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জৈষ্ঠ্য প্রভাষক আব্দুস সালামের ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য জানা যায়নি।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনজুর আলম বলেন, আমি হিসাবরক্ষকের অফিস কক্ষে গিয়ে দেখি প্রভাষক হিসাবরক্ষককে মারধর করছে। আব্দুস সালামকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে অফিস কক্ষে নিয়ে আসি। তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে অন্যদের সহযোগিতায় অফিস কক্ষে আনা হয়। ঘটনা কি জানতে চাইলে তিনি নিজের দোষ ঢাকতে ফেসবুক লাইভে উল্টাপাল্টা তথ্য দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাধ্য হয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, সোনাপাতিল নলডাঙ্গা মহিলা কলেজের এক শিক্ষক ও হিসাবরক্ষকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ