সেলফি তোলা নিয়ে ৫ গ্রামের সংঘর্ষ, হাসপাতালে ২০

ভাঙ্গা থানা
ভাঙ্গা থানা  © ফাইল ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে সেলফি তোলা অবস্থায় এক কিশোরকে ধাক্কা দিয়েছিলো মোটরসাইকেল। এর জেরে কিশোরদের মধ্যে মারামারি হয়। পরে এ মারামারিকে কেন্দ্র করে  পাঁচ গ্রামের মানুষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গুরুতর আহত ৩ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৭ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে আলগী ইউনিয়নের সুলিনা বাজারের কুমার নদের ব্রিজের ওপর নাওরা গ্রামের কয়েকজন কিশোর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিল। এ সময় একই ইউনিয়নের গুণপালদী গ্রামের এক কিশোরের মোটরসাইকেলের সঙ্গে তাদের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর গুণপালদী গ্রামের কয়েকজন কিশোর সুলিনা বাজারে গেলে নাওরা গ্রামের কিশোররা তাদের মারধর করে। এর পরই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে কয়েক গ্রামের মানুষ।

সংঘর্ষে এক পক্ষে গুণপালদী গ্রাম ও অপর পক্ষে নাওরা, অপরপট্টি, শুয়াদী, চান্দ্রা গ্রামবাসী অংশ নেয়। ঢাল, সড়কি, রামদা, ইটপাটকেলসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা।

আরো পড়ুন: চারুকলার সাধারণ জ্ঞান অংশের ফল হতে পারে ২০ মে

আলগী ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মজিবর মুন্সী বলেন, মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে সেলফি তোলারত এক কিশোরের। এ নিয়ে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয়। পরে তা বড় সংঘর্ষের পর্যায়ে গড়ায়।

ভাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কিশোরদের মারামারির ঘটনা বড় আকারের সংঘর্ষে রূপ নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

 


সর্বশেষ সংবাদ