হোস্টেলে মেডিকেল ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ, পাশে নোট

প্রতীকী
প্রতীকী  © ফাইল ছবি

হোস্টের থেকে মেডিকেলে পড়ুয়া এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম যতি গর্গ (২২)। ঘটনাটি গতকাল বুধবার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুরপুকুর থানা এলাকায় ঘটেছে। যতি গর্গ স্থানীয় জোকা ইএসআই মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

জানা গেছে, ওই ছাত্রী থাকতেন হোস্টেলের ১২ তলায়। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। পুলিশ এবং হাসপাতালের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওই ঘর থেকে হিন্দিতে লেখা একটি নোট উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, সেখানে ওই ছাত্রী পড়াশোনার চাপে আত্মঘাতী হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই ছাত্রী নিবাসে প্রত্যেকে আলাদা ঘরে থাকেন। তাদের ঘরের বারান্দা দিয়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যাওয়া যায়। এ দিন সকালে মেয়েকে ফোন করেন ওই ছাত্রীর মা। কিন্তু ফোন বেজে যাওয়ায় অন্য এক ছাত্রীকে ফোন করে দেখতে বলেন। তখন অন্য ছাত্রীরা দরজায় ধাক্কা দিলেও তা খোলেনি।

আরও পড়ুন: ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু

এর পর তারা বারান্দার দিক থেকে জানলা দিয়ে ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তখন তাৎক্ষণিক খবর দেওয়া হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ঠাকুরপুকুর থানায়।

পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাইরে থেকে মৃতের শরীরের কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেই পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের এক পুলিশকর্তা জানান, ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। কার সঙ্গে শেষ বার তিনি কথা বলেছিলেন, সেই খোঁজ করা হচ্ছে। ছাত্রীর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিক আচরণ অন্য অন্য শিক্ষার্থীরা দেখেছিলেন কি না, তারও খোঁজ চলছে।

ওই ইএসআই হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অস্থিরোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ও ডিন সঞ্জয় কেশকার বলেন, ‘‘ওই ছাত্রী মেধাবী ছিলেন। শেষ পরীক্ষাতেও দশম স্থানে ছিলেন। কেন এমন ঘটল, অবসাদ ছিল কি না, সেটা বুঝতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।’’ [সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা]


সর্বশেষ সংবাদ