রাবি ছাত্রের লাশ তুলে ময়নাতদন্ত দাবি সাবেকদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:৩৯ AM , আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১১:৫৬ AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্র মো. গোলাম মোস্তাকিম শাহরিয়ারের লাশ তুলে ময়নাতদন্ত এবং রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাকারীদের শাস্তির দাবিদে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে নিহত হন শাহরিয়ার।
বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থান্বেষী এক গ্রুপ তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দুঃসাহস দেখিয়েছে। মিথ্যাচার, গুজব রটিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। এ ধরনের অপচেষ্টা মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে কুটূক্তিকারীদের শাস্তি দিতে হবে।ফজলে হোসেন বাদশা স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়াই করেছেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ফজলে হোসেন বাদশার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিল বাংলা ভাই। তিনি রাকসুর ভিপি নির্বাচিত হন ১৯৮০ সালে।
তারা আরও বলেন, এখনও শাহরিয়ারের ময়নাতদন্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্র কিভাবে মারা গেল জাতির সামনে পরিষ্কার হওয়া দরকার। কারণ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম আমরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুখ দুঃখ এবং ঐতিহ্যের চিরসাথীও। দ্রুত ময়নাতদন্ত করা হোক তার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য সাদাকাত হোসেন খান বাবুলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রাক্তন ছাত্র অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী, কিশোর রায়, তৌহিদুর রহমান, রুচিরা সুলতানা, শান্তি রঞ্জন সরকার, দুলাল চন্দ্র চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন স্বপন, আনিসুর রহমান শিবলু প্রমুখ।
আরো পড়ুন: মেঘনা নদীতে তলিয়ে গেল দুই ছাত্র
গত ১৯ অক্টোবর রাতে হলের তৃতীয় তলা থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন শাহরিয়ার। তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ক্ষুব্দ রাবি শিক্ষার্থীরা ওই রাতে রামেকে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ আনেন। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা লাঞ্ছনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেন।
গত ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মানববন্ধনে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘ছেলেটিকে মৃত পাওয়া গেছে, এটা প্রমাণিত। ছাত্ররা তাকে হত্যা করে রামেকে এনেছে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কবর থেকে মরদেহ তুলে ময়নাতদন্ত করা হোক। এ বক্তব্যের প্রতিবাদে গত ২২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধনে তাকে রাবিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।