ব্যর্থতার ষোলকলা পূরণ মুশফিকের, পুরোনো কাসুন্দি টানলেন মুমিনুল
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর -০০০১, ১২:০০ AM

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না মুশফিকুর রহিমের। সদ্য সমাপ্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খেয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এ নিয়ে সমালোচনার জেরে ওয়ানডে ফরম্যাটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মুশি। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও চিরচেনা মুশফিকের দেখা মিলছে না। সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোটের ওপর ৮ রান করেছেন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও মাত্র ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। এ ছাড়া টেস্টে সর্বশেষ ৪ ইনিংসে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি মুশফিক, ১২ ইনিংস ধরে পাচ্ছেন না ফিফটির দেখা।
তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের এমন পারফরম্যান্সে মোটেই নিশ্চিত নন তার সতীর্থ মুমিনুল হক। তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তার ভাষ্য, ‘আমি তাকে নিয়ে কোনোভাবে চিন্তিত না। উনি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। জানেন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে, কীভাবে রান করতে হবে। আমার কাছে মনে হয় সবার যে জিনিসটা ভুলে যাওয়া উচিত না, উনি বাংলাদেশ দলের জন্য কী করেছেন। আর উনার রান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কতটুকু কী করতে পারেন। মাঝেমধ্যে ম্যাচসেরা ইনিংসও খেলেন।’
টেস্টে মুশফিকের অর্জন আসলেই ঈর্ষণীয়। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলা থেকে ৫ ম্যাচ দূরে দাঁড়িয়ে তিনি। ক্রিকেটের রাজকীয় এই ফরম্যাটে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে তার। পাশাপাশি ১১টি সেঞ্চুরিও করেছেন। রঙিন পোশাককে বিদায় বলা এই ক্রিকেটার কেবল টেস্ট খেলছেন। কিন্তু সিলেট টেস্টে নিষ্প্রভই থাকল তার ব্যাট, ওয়ানডে থেকে অবসরের আগে শেষ তিন ইনিংসে (২, ০, ১) যেমনটা ছিল।
তবে মুশফিকের ওপর আস্থা রাখা কেন জরুরি, সেই প্রসঙ্গও খোলাসা করেছেন মুমিনুল। তার দাবি, ‘আমার কাছে মনে হয়, উনি এখন আরও ভালোভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারবেন, যেহেতু বাকি দুইটা ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন। এখন একটা ফরম্যাটে মনোযোগ দেবেন। এজন্য মনে হয় আগের চেয়ে আরও ভালো খেলতে পারবেন, একটা ফরম্যাটে যখন খেলবেন তখন একটা লাইনে থাকবেন, পারফর্ম করাটাও সহজ হয়ে যায়।’
এদিকে মুশফিকের মতই সিলেট টেস্টে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছেন, ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও। তার প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন, ‘আমি তো আর ব্যাটিং কোচ না (হাসি)। কোচরা হয়তো বলতে পারবেন, ওর সমস্যা কোথায়। এই ইনিংসে যতটুকু দেখেছি, আমি ননস্ট্রাইকে ছিলাম, আমার কাছে তাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। যে বলে আউট হয়েছে, সেটি দুর্ভাগ্যজনক ছিল। যতক্ষণ ব্যাটিং করেছে, ততক্ষণ ভালোই মনে হয়েছে। টেকনিকের বিষয়ে কোচরা ভালো বলতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, সিলেট টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিড নেওয়ার পর ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা। জবাবে ২৭৩ রানে অলআউট হলেও ৮২ রানের লিড পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। লিড ১১২ রানের।
শেষ বিকেলে দলীয় স্কোর চাঙ্গা রেখেছেন অধিনায়ক শান্ত আর জাকের। ১৫ দশমিক ২ ওভার ব্যাটিং করে ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটির ছোঁয়া পেয়ে যান শান্ত। ১০৩ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৬০ রানে অপরাজিত টপ-অর্ডার এই ব্যাটার। এ ছাড়া ৬০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২১ রানে রয়েছেন অপরাজিত জাকের।