২১ বছর ধরে কলা গাছের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা 

কলাগাছের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন
কলাগাছের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন  © টিডিসি ফটো

নেত্রকোনার মদনের তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল হাই স্কুলে ২১ বছর ধরে কলা গাছ দিয়ে তৈরি করে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ।

‘সরকারকে অনেকবার জানিয়েছি, কিন্তু কোন কাজ হয়নি’—এভাবেই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান।

হাওর এলাকায় অবস্থিত কুঠুরিকোনা মডেল হাই স্কুল। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্কুলটি ২০১৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। স্কুলটিতে বর্তমানে ৩৫০ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। অর্থের অভাবে নির্মাণের ২১ বছর পরও এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করা যায়নি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করা হয়।

স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহানাজ, লামিয়া, রিয়া মনি বলেন, ‘শহীদ মিনার নেই তাতে কি। তাই বলে কি ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করব না। আমরা প্রতি বছর এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দেই।’

সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘টাকার অভাবে প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।’

সহকারী শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘শহীদ মিনার নেই। তাই একুশে ফেব্রুয়ারির আগের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের শহীদ মিনার বানানো হয়। তাতে কাগজ মুড়িয়ে সুন্দর করা হয়।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী বলেন, ‘যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই, সে সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের বলেছি ইউএনও স্যার বরাবর আবেদন করতে।’ 

মদন উপজেলার ইউএনও অহনা জিন্নাত বলেন, ‘উপজেলার যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তাদের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্পের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি আগামী একুশে ফেব্রুয়ারির আগেই বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া যাবে।’


সর্বশেষ সংবাদ