চট্টগ্রামে বাজারের বাইরে পশুর হাট, ক্ষতির মুখে ইজারাদাররা
- চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:০০ PM , আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৮:০৩ PM
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বাজারের বাইরে অর্থ্যাৎ মূল সড়ক, গলির মোড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী পশুর হাট। ফলে বাজারের ইজারাদার ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানা গেছে। আর সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, সরকারি অনুমোদন ব্যতীত কোথাও পশুর হাট বসার সুযোগ নেই। আমরা খুব শিগগিরই অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ হাট উচ্ছেদ করব।
ইজারাদাররা বলছেন, দ্রুত এসব হাট উচ্ছেদ না করলে আগামীতে সরকারি হাটগুলোর ইজারামূল্য অনেকাংশে কমে যেতে পারে। এতে সরকারও রাজস্ব হারাবে।
জানা গেছে, কোরবানি উপলক্ষ্যে উপজেলার দক্ষিণ বন্দর, বোয়ালিয়ার মোড়, বৈরাগ, চায়না ইকোনমিক জোন, কাপকো সেন্টার, বৈরাগ তেলের দোকান, বখতিয়ারপাড়া, কালীবাড়ি, পরৈকোড়া ও সিইউএফএলসহ অন্তত ১০-১৫টি স্থানে অবৈধভাবে গরু-ছাগল নিয়ে পশুর হাট বসেছে। এসব হাটে দিনে ৫০ থেকে ১০০টিরও বেশি পশু বেচাকেনা হচ্ছে। তবে এসব হাটে ক্রেতাদের কাছ থেকে ‘হাসিল’ না নেওয়া হলেও, অনেক জায়গায় বিক্রেতাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে আনোয়ারা উপজেলায় মোট ১৯টি হাটবাজার সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বারখাইন তৈলারদ্বীপ পশুর হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকায়, বটতলী রুস্তম হাট ৩ কোটি টাকায় এবং চাতরী চৌমহনী পশুর বাজার প্রায় ১ কোটি টাকায়। বাকি ১৬টি অস্থায়ী হাট ইজারা দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকার মধ্যে।
বারখাইন তৈলারদ্বীপ পশুর হাটের ইজারাদার ক্যাপ্টেন (অব.) নুর মোহাম্মদ বলেন, শুধু কোরবানির মৌসুমের বাজার ধরেই সাড়ে ৬ কোটি টাকায় ইজারা নিয়েছি। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে বসা অবৈধ হাটগুলোর কারণে আমাদের বৈধ বাজারে প্রভাব পড়ছে। এতে আমরা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে পারি।
চাতরী চৌমহনী পশুর হাটের ইজারাদার জাগির সওদাগর বলেন, আমরা কোরবানিকে কেন্দ্র করে মাত্র দুটি বাজার পেয়েছি— শনিবার ও মঙ্গলবার। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে প্রথম বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা আসেননি। উপরন্তু অবৈধ হাটের কারণে বৈধ বাজারে লোকজন আসছে না। এর ফলে আমাদের ইজারার টাকা তোলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।