কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের কার্পেটিং কাজে অনিয়মের অভিযোগ, স্থানীয়দের ক্ষোভ
- কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০২:১৭ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:১০ PM
কুয়াকাটায় সৈকতসংলগ্ন পর্যটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বেড়িবাঁধের পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়কটির নির্মাণে নিম্নমানের বালু ব্যবহারের অভিযোগ ছিল আগেই। এবার কার্পেটিংয়ের সময় প্রাইম কোট না দেওয়া, বিটুমিনের পরিমাণ কমিয়ে কাজ চালানোসহ একাধিক অনিয়ম ফেসবুকে ছবিসহ ভাইরাল হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, কুয়াকাটার মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় এমন অনিয়ম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
গত রোববার বেড়িবাঁধের কার্পেটিং কাজ শুরু হয়। কুয়াকাটার চৌরাস্তা থেকে পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে পর্যন্ত সড়কটির নির্মাণকাজ চলছে। এ সড়কের কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। তবে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা।
ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তায় প্রাইম কোট ছাড়াই বিটুমিন ঢালাই করা হচ্ছে। এ ছাড়া কার্পেটিংয়ের সময় রাস্তার ধুলোবালি পরিষ্কার না করেও কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহিদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘রাস্তার ধুলোবালি পরিষ্কার করে প্রাইম কোট মেরে তারপর কার্পেটিং করতে হয়। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। পর্যটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক এটি। কিন্তু এই সড়কটির কাজ এতো নিম্নমানের হচ্ছে যা দেখার কেউ নেই। প্রাইম কোট না দিয়েই বিটুমিন ঢালাই করা হচ্ছে। যা রাস্তাটির স্থায়িত্ব নষ্ট করবে। এ ছাড়া ঢালাইতে লিকুইড বিটুমিনের পরিমাণও অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। জনগণের টাকায় এমন নিম্নমানের কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা কুয়াকাটাবাসী’র সভাপতি হাফিজুর রহমান আকাশ লিখেছেন, ‘প্রাইম কোট ছাড়া কার্পেটিং করা হলে রাস্তাটির স্থায়িত্ব থাকবে না। জনগণের টাকায় এমন নিম্নমানের কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
পোস্টগুলো শেয়ারও করেছেন অনেকেই। এক কথায় একজনের টাইমলাইন থেকে অন্যজনের টাইমলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এসব পোস্ট। এতে নানারকম কমেন্ট করে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নেটিজেনরা।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদেকুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন আজ
বিষয়টি নিয়ে এলজিইডির পটুয়াখালী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর জানান, কাজে যথাযথভাবে প্রাইমকোট দেওয়া হয়েছে এবং মান নিয়ন্ত্রণে তদারকি করা হচ্ছে। তবে প্রকল্পের বরাদ্দ, কার্যাদেশের তারিখ ও কাজের সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পরে জানাবেন বলে সময় চেয়ে ফোন কেটে দেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে যেন তা সম্পন্ন করা হয়।’