তিন মাস ধরে কারবালা কবরস্থানের গেটগুলো তালাবদ্ধ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ
- যশোর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ AM , আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০ AM

যশোর কারবালা কবরস্থানের গেটগুলো তালা মেরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনমাস ধরে গেইটগুলো তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যার ফলে, কবর জিয়ারত করতে পারছেন না মৃতের স্বজনরা। এ ঘটনায় এলাকাবাসী সহ মৃতের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি ক্ষুব্ধ জনতা গেটের তালা ভেঙ্গে কবর জিয়ারত করেন। পরে আবারও তালা দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কারবালা মসজিদ, কবরস্থান ও মাজারে ৫টি গেট রয়েছে। ২০০২ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে গেইটগুলো স্থাপন করা হয়। পাঁচটি গেটের মধ্যে পশ্চিম পাশের গেট দিয়ে মানুষ মসজিদে নামাজ পড়তে আসে। ওই গেটটি বেশির ভাগ সময় খুলে রাখা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব দিকের গেট দিয়ে খড়কি ও স্টেডিয়াম পাড়াবাসী কবরস্থানে কবর জিয়ারত করতে আসেন। তিন মাস ধরে গেটগুলো বন্ধ থাকায় মানুষ কবর জিয়ারত করতে পারছেন না। বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে এমন ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথম কবরস্থানের সবগুলো গেট তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গরু ছাগলের ‘দোহাই’ দিয়ে এক ব্যক্তি তিনমাস ধরে তালা মেরে রেখেছেন। গেইটগুলোতে হ্যাজবোল্ট আছে। যা ব্যবহার করে মানুষ কবরস্থানে ঢুকতে পারেন। হ্যাসবোল্টের সুবিধা হলো পাহারাদার না থাকলে গেইট ফাঁকা থাকবে না। তাছাড়া গেইটে পাহারা দেয়ার জন্য লোক নিয়োগ দেওয়া রয়েছে। ওই ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কবরস্থান তালাবদ্ধ করে রেখেছেন।
কবরস্থান পবিত্র রাখার জন্য তালা মেরে রাখা হয়েছো বলে জানালেন মসজিদের উন্নয়ন ফান্ডের টাকা আদায়কারী তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গেট খোলা থাকলে কবরস্থানর গরু-ছাগলেল উপদ্রব বাড়ে। সেই সাথে মাদকসেবীরা কবরস্থানের ভেতর ঢুকে মাদক সেবন করে। এজন্য গেটগুলো তালা মেরে রাখা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সাবেক সদস্য সোহেল আল মামুন নিশাদ বলেন, কবরস্থান স্পর্শকাতর জায়গা। সেখানকার গেটগুলো তালা মেরে রাখা দুঃখজনক। আমরা যখন দায়িত্বে ছিলাম ওই সময় গেট গুলো তালা মারা থাকতো না। নিয়মিত পাহারাদার থাকতো। এখনো পাহারাদার থাকে। কিন্তু কেন তালা মেরে রাখা হয়েছে এটা কারো বোধগম্য নয়। তালাবদ্ধ রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
কারবালা মসজিদ কমিটির সহসভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন জানান, মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্তের বাইরে কবরস্থানের গেইট তালা মেরে রাখা হয়েছে। এটা কারা করেছে খতিয়ে দেখা হবে। এটা মোটেই শোভনীয় হচ্ছে না। ফজরের নামাজের সময় থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত গেইট খুলে রাখা হবে। এটাই কমিটির সিদ্ধান্ত।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও কারাবালা মসজিদ কমিটির সভাপতি আজাহারুল ইসলাম বলেন, কারবালা কবর স্থানের গেইট তালা মেরে রাখার বিষয় আমার জানা নেই। আগামী মিটিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।