কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে নীলক্ষেতে অবস্থান সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের

কোটা পুনবর্হালের প্রতিবাদে নীলক্ষেতে অবস্থান সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
কোটা পুনবর্হালের প্রতিবাদে নীলক্ষেতে অবস্থান সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের  © টিডিসি রিপোর্ট

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুনর্বহালে আদালতের দেওয়া রায় বাতিলের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৯ জুন) বেলা ১১টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এতে বিভিন্ন কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে আমরা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জয়ী হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোটা সংসদে বাতিল করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। মেধার ভিত্তিতে দেশ গড়ার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করেছে। সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভঙ্গ করেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সাম্য গড়েছিল তা ভেঙে দিয়েছে।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাকিব হোসাইন বলেন, সংবিধানে সরকারি চাকরিতে সমতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আজকে কোটার মাধ্যমে মেধাবীদের অবহেলা করা হচ্ছে। এই ছাত্রসমাজ কোনও দাবি আদায়ে যতবারই রাস্তায় নেমেছে সেই দাবি আদায় করে রাজপথ ছেড়েছে। আজকেও আমরা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। যদি এই বৈষম্যমূলক কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত বাতিল না করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা এই রাজপথ ছাড়বে না।

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। তবে, ওইবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক কোটা বিরোধী আন্দোলন হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত চাকরির ক্ষেত্রে কোটা ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয় সরকার।

তার আগে এসব পদে চালু থাকা কোটার ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং তাদের নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর বাইরে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ আসন থাকতো।

কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদেরও অবশ্য ব্যবস্থাটি পুরোপুরি বাতিলের দাবি তুলতে দেখা যায়নি। 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ'এর ব্যানারে যে পাঁচটি বিষয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলে সেগুলোর অন্যতম ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটার সংস্কার।

আন্দোলনকারীরা চেয়েছিলেন, ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ সেটিকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হোক। তাদের সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বিগত বছরগুলোতে কোটা বিহীনভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence