প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর  © লোগো

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন প্রার্থীরা। স্ব স্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

প্রথম ধাপে বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (admit.dpe.gov.bd)  প্রবেশ করে প্রার্থীরা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে বা এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের বছর দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করেতে হবে। প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডের রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে হবে। 

পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি বা স্মার্টকার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। ওএমআর শিট পূরণের নির্দেশাবলী এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রার্থীদের আবেদনে দেওয়া মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আবেদনকারীদের নিজ নিজ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোন কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা নিষিদ্ধ বলেও জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রথম ধাপের পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বরেই, শনিবার থেকে মিলবে প্রবেশপত্র

এর আগে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষা গত ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ২৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ১ ডিসেম্বর পরীক্ষা হবে। তবে ২১ নভেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় তা পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলার ৫৩৫টি কেন্দ্রে লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে অনিবার্য কারণে তা স্থগিত করা হয়। এ ধাপে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।


সর্বশেষ সংবাদ