বিসিএস ছাড়া সব সরকারি চাকরিতে বয়সে ছাড়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৫৮ AM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:৪৩ AM
বিসিএস ছাড়া সরকারি সব নিয়োগে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমায় ৩৯ মাস ছাড় দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, সিনিয়র সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যে সকল মন্ত্রণালয়বিভাগ ও এর অধীন অধিদপ্তরপরিদপ্তর দপ্তর এবং সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সে সকল দপ্তর প্রতিষ্ঠানের ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিতবা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে থাকলে উক্ত প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
অর্থাৎ যাদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শেষ হয়েছে তারা আগামী ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের চাকরি দিচ্ছে ঢাবি, মাসে বেতন এক হাজার টাকা
এর আগে, করোনার কারণে এর আগেও দুই দফা বয়সে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দফায় ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি প্রার্থীদের বয়স ৩০ পেরিয়েছে তাদের বয়সসীমায় ৫ মাস ছাড় দেয়ার নির্দেশ দেয় সরকার। পরবর্তী দফায় ২০২১ সালের ১৯ আগস্ট চাকরি প্রার্থীদের বয়সে ২১ মাস ছাড় দেয়া হয়।
৫ মাসের প্রথম ছাড়ের নির্দেশনায় বিসিএসের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে সর্বশেষ ৩৯ ও ২১ মাসের ছাড়ের সুযোগে বিসিএসের কথা পৃথকভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ বাকি এই দুই ছাড়ের নির্দেশনায় বিসিএসের নিয়োগগুলোতে বয়সের ছাড় কার্যকর হচ্ছে না।
‘চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্ম'-এর আহ্বায়ক মানিক হোসেন রতন বলেন, সরকারি চাকরি মোট চাকরির মাত্র ১৬ ভাগ। বেসরকারি চাকরিতে এই বয়সের এই ছাড় পাওয়া যাবে কি না তা-ও স্পষ্ট নয়। আর বিসিএস বাইরে রাখা হয়েছে এই যুক্তিতে যে, করোনার মধ্যে প্রতি বছরই একটি করে বিসিএস পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে ২০১৯ সালের পরীক্ষা হয়েছে গেল বছর। একটি বিসিএস পরীক্ষা পুরো শেষ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে তিন বছর লাগে।
তিন বলেন, এই করোনার সময় সাড়ে চার লাখের মতো চাকরিপ্রার্থী তাদের বয়স হারিয়েছেন। তাদের ১৫-১৬ ভাগেরও বেশি ২১ মাসের সুবিধা পাবেন না। তারাই পুরো সুবিধা পাবেন, যাদের বয়স ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ৩০ বছর পার হয়েছে। তাই চাকরির বয়স বাড়িয়ে ৩২ বছর করার কোনো বিকল্প নেই।