‘বিতর্কিত কারিকুলাম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

পাঠ্যবইয়ে মুসলমানদের ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে: মাহমুদুর রহমান

  © সংগৃহীত

পাঠ্যপুস্তকে মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সঠিকভাবে তুলে ধরে শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেছেন, আওয়ামী প্রবর্তিত কারিকুলামে মুসলিম সুলতানদের বহিরাগত দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কাঠামোর নতুন কারিকুলামে জনআকাঙ্খার প্রতিফলন না ঘটলে অভিভাবক ও সাধারণ জনগণই এটা রুখে  দেবে। ইতিহাস  থেকে মুসলমানদের  অবদানের কথা কখনোই মুছে দেয়া যাবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে দৈনিক নয়া দিগন্তের সিনিয়র সাংবাদিক শাহেদ মতিউর রহমান রচিত ‘আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কারিকুলাম’ বইয়ের প্রকাশনা ও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজলুম সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন

অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমান বলেন, অতীতে সবসময়ই বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতি আমাদের মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এই কাজ গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনামলে কোন প্রকার রাখঢাক না করে একতরফাভাবেই  চালিয়ে দেয়া হয়েছে । অবশ্য স্বাধীনতার পর গত অর্ধশতাব্দী কাল থেকেই ইতিহাসকে বিকৃতি করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। তিনি  বলেন যে স্বাধীন সুলতানরা এদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন বহুকাল আগেই দেখেছিলেন সেখানে সেই সুলতানদেরই  বহিরাগত দখলদার  ও ভিনদেশি শাসক হিসেবে পাঠ্যবইয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। অবশ্য  এটা নিয়ে দেশের সচেতন মানুষ বিশেষ করে অভিভাবকরা নানাভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রতিবাদ করেছেন। এখন সময় এসেছে পাঠ্যপুস্তকে বাঙালি মুসলমানদের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। আমি মনে করি শাহেদ মতিউর রহমান লিখিত এই বইটি একটি সময়ের মাইলফলক হিসেবে আগামী দিনে সাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এই কাজে অন্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। 

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর ড. এম কোরবান আলী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মোটিভেশনাল স্পীকার ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে)  সভাপতি শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি ও আমার দেশ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ,   চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মো. বরকত আলী, জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের  প্রধান অধ্যাপক  ড. মুহাম্মদ আজাদ খান, নয়া দিগন্তের অনলাইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ হাসান শরীফ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) গবেষণা ও প্রশিক্ষণ শাখার কর্মকর্তা কানু কুমার ঘোষ, এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ইরাব) সভাপতি ফারুক হোসাইন, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান সরকার, বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট তারেকুল ইসলাম, বুক পয়েন্টের স্বত্বাধিকারী এম এ মুসা খান, বইয়ের প্রকাশক মোফাজ্জল হোসাইন রাসেল ও মো. নাসের উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, কৃষিবিদ নুরুজ্জামান,  বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা গবেষক মোহাম্মদ আলী  প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ