ক্যারিয়ার সাজাতে সাথে রাখুন এ বইগুলো
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ মে ২০২৪, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ১১ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ PM
আত্মোন্নয়ন এবং মানসিকতা উন্নয়নের চমৎকার একটি উপায় হলো বই পড়া। আপনি যদি আপনার পেশাদার কর্মজীবনকে এগিয়ে রাখতে চান বা সাম্প্রতিক সময়ে স্নাতক সম্পন্ন করে চাকরির সুযোগের অপেক্ষায় আছেন, তাহলে পড়ে নিতে পারেন কয়েকটি প্রয়োজনীয় বই। বইগুলো পড়া থাকলে আপনার সফলতার পথে দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করতে পারে। ক্যারিয়ারের উন্নতিতে সহায়ক এমন সেরা ৭টি বই নিয়ে আজকের আয়োজন।
১. লেইল লোনডেসের ‘হাউ টু টক টু এনিওয়ান’
যে কোনো সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে বড় সাফল্যের জন্য ছোট ছোট ৯২টি কৌশল নিয়ে এ বইটি লিখা হয়েছে। এটিকে একটি তথ্যপূর্ণ এবং মজাদার বই বলা যায যা পাঠকদের তাদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
২. এরিক রাইসের ‘দ্য লিন স্টার্টআপ’
উদ্যোক্তা, স্টার্টআপ এবং শিল্পের প্রতি আগ্রহী ব্যক্তিদের এ বইটি অবশ্যই পড়া উচিত। কোনো একটি ধারনা কীভাবে পরীক্ষা এবং যাচাই করতে হয়, একটি ন্যূনতম কার্যকর পণ্য তৈরি এবং গ্রাহকের প্রতিক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে কীভাবে পুনরায় কাজ করতে হবে ইত্যাদি শেখা যাবে বইটি পড়লে।
৩. রোকসানা আক্তার রুপীর ‘করপোরেট কমিউনিকেশন’
ইংরেজি হলো আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম এবং ব্যবসায়ের আন্তর্জাতিক ভাষা। আপনার ইংরেজি যদি প্রফেশনাল মানের হয়, তাহলে বিজনেস প্রেজেন্টেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা বিজনেস ডিল করার ক্ষেত্রে আপনি এক ধাপ এগিয়ে আছেন। যোগাযোগের জন্য বেশি ব্যবহার করা হয় ইমেইল। আর ইমেইলে আপনার বক্তব্যের মূল পয়েন্ট কীভাবে তুলে ধরতে হবে, সেটা জানা খুবই জরুরি। সঠিক ধারায়, কোনো ভুল না করে ভালোভাবে ইমেইল লিখতে পারা একটি বিশেষ দক্ষতা। ওপরে বর্ণিত বিষয়গুলো এবং পাবলিক ও বহুজাতিক কোম্পানিতে করপোরেট ট্রেনিং করানোর সুদীর্ঘ ১৬ বছরের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে লেখিকা এই বইয়ে বিজনেস কমিউনিকেশনের টিপস ও টেকনিকসমূহের এক চমৎকার সমন্বয় করেছেন।
৪. রল্ফ ডোবেলির ‘দ্য আর্ট অব থিঙ্কিং ক্লিয়ারলি’
এই বইটিতে রল্ফ ডোবেলি কর্মজীবনে বাঁধা সৃষ্টি করে এমন সাধারণ জ্ঞান সম্বন্ধীয় পক্ষপাত শনাক্ত করা এবং সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য সহায়ক পথ নিয়ে আলোচনা করেছেন। জটিল চিন্তন দক্ষতা উন্নত করে কীভাবে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় সে বিষয়ে ব্যবহারিক কৌশল এবং উদাহরণ রয়েছে বইটিতে।
৫. ড্যানিয়েল ওয়াল্টারের ‘দি পাওয়ার অফ ডিসিপ্লিন’
জীবনে কোনোকিছু অর্জন করার পূর্বশর্ত হলো আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি শক্ত ভিত্তি। প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, ইতিবাচক চিন্তাভাবনা, আত্মসমর্থন এবং স্বপ্ন ফলক লক্ষ্য অর্জনের পথে এক একটি অংশ মাত্র। আপনি যদি আপনার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে চান তবে আত্মনিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। কঠোর পরিশ্রমকে কিভাবে উদ্দীপনাময় করা যায় এ সম্পর্কেও জানা যাবে এ বইটি পড়ার মাধ্যমে।