কৃষিবিদদের প্রতি বৈষম্য নিরসনে ৬ দফা দাবিতে বাকৃবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ০৩:৩৬ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:১৫ PM
বিএসসি কৃষিবিদদের পেশাগত অধিকার রক্ষা ও বৈষম্য নিরসনে ৬ দফা দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়াকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১টার দিকে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাকৃবি উপাচার্য সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ডিপ্লোমাধারীদের দাবির বিপরীতে শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। এসব দাবি যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। কৃষিবিদদের অস্তিত্ব রক্ষায় যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে আমি পাশে আছি।’
তিনি আরও বলেন, শুধু বাকৃবিই নয়, দেশের সব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এসে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টা ও কৃষি উপদেষ্টার দপ্তরে সরাসরি তুলে ধরতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৭৪ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে, যা বিএসসি কৃষিবিদদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক ও হতাশাজনক। তারা জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই পদায়ন বাতিল না হলে দেশব্যাপী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তীব্র আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
আরও পড়ুন: নাম পরিবর্তনের দাবিতে বন্ধ গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, গুচ্ছ পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা
কৃষিবিদদের অধিকার আদায়ে শিক্ষার্থীরা যে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে, তা হলো- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বিএডিসি ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেডের পদ (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) বিএসসি কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। ডিএইসহ অন্যান্য কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিয়মিতভাবে নবম ও অন্যান্য গ্রেডে পদোন্নতি এবং কাঠামোগত পুনর্বিন্যাস করতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে নবম গ্রেডে (বিএডিসি কোটাভিত্তিক) পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না।
এ ছাড়া দশম গ্রেডের পদগুলো গেজেটের আওতার বাইরে রেখে পৃথক পদসোপান বা প্রচলিত কাঠামো বজায় রাখতে হবে। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন কোনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না—এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। কৃষি বা কৃষি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ব্যতীত কেউ “কৃষিবিদ” পদবী ব্যবহার করতে পারবে না—এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অধীনেই রাখতে হবে।