ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নে অসঙ্গতি, ভর্তিচ্ছুদের আশ্বস্ত করলেন উপাচার্য
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০০ AM , আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৮ PM

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার দুটি সেটে চারটি প্রশ্ন পুনরাবৃত্তি করা হয়। পরীক্ষা শেষ হলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভর্তিচ্ছু এবং অভিভাবকরা।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষ সাংবাদিকদের সাথে এ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভিসি নিয়াজ বলেন, ব্যবসায় শিক্ষায় অনুষদের যে বিষয়টি ঘটেছে সেটি নিয়ে দুটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। প্রশ্নফাঁসের কোন ঘটনা ঘটেনি। যেটি ঘটেছে সেটি দেখার জন্য আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি। মূখ্য সমন্বয়কের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে আমাদের যে কমিটি কাজ করে, সেই কমিটি গত পুরো সপ্তাহ যাবত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ছাত্রদের সর্বোচ্চ স্বার্থ সংরক্ষণ করে বিষয়টি যেন সমাধান করা হয়। সমাধান প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে, প্রায় কাজ শেষ করে ফেলেছেন।
তিনি আরো বলেন, মূলত দুটো বিষয় ছিলো, খুব স্বল্পসংখ্যাক ত্রুটি ছিলো। এমসিকিউ অংশে কিছু ক্রমধারাজনিত, আর কিছু ছিলো পুনরাবৃত্তিজনিত। সেটি তারা (কমিটি) বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা বলেছেন ছাত্রদের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করে, ছাত্রদের পক্ষে যেন সমন্বয় করা যায় সেই উদ্যোগ পুরোপুরি গৃহীত হয়েছে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, মূলত এটি কমিটির কাজ। বিষয়টি নিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে মূখ্য সমন্বয়কারী আপনাদের (সাংবাদিকদের) আজ অথবা কালকের মধ্যেই পূর্ণ একটা বিবৃতি দিবেন, কোন প্রশ্ন থাকলে সেটিও করতে পারবেন। আমরা পূর্ণ আশ্বস্ত করতে চাই, ছাত্রদের পূর্ণ স্বার্থ রক্ষা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ‘এ’ সেটে অ্যাকাউন্টিং অংশে ২৫ নম্বরে প্রশ্ন এসেছে, ‘তাসনু ট্রেডার্স ভুলক্রমে ৮০,০০০ টাকার অনুপার্জিত সেবা আয়ের অর্জনের সমন্বয় সাধন করেনি। আর্থিক বিবরণীতে এর ফলাফল কী হবে?’। একই প্রশ্ন ৩৩ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়েছে। সেটের ২৬ নম্বরে ‘মাহরিন ও মেহনাজ একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের দুইজন অংশীদার। তাদের মুনাফা বণ্টন অনুপাত ৫:২। তারা স্নেহাকে ১/৪ অংশ মুনাফা বণ্টনের চুক্তিতে ব্যবসায়ে নতুন অংশীদার হিসাবে গ্রহণ করে। তাদের মুনাফার নতুন অনুপাত কত?’ প্রশ্নটি এসেছে। একই প্রশ্ন ৩৪ নম্বরে পুনরায় ছাপা হয়। এছাড়া আরো কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়।