পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন পূরণে যে ভুল করা যাবে না

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ছবি

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কয়েকটিতে আবেদন চলছে। চলতি মাসেই কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন শুরু হবে। এবারও মেডিকেল, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিইউপির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর ভর্তি পরীক্ষা হবে শুরুর দিকে। পছন্দের শীর্ষে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও মেডিকেলের পরীক্ষা হবে আগামী মাসে। এসব পরীক্ষায় ছোট দু’একটি ভুল হলেই ভেস্তে যেতে পারে ভর্তির স্বপ্ন।

এবার তিনটি গুচ্ছের মধ্যে একটি ভেঙে গেছে। বাকি দু’টি থেকেও কয়েকেটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে গেছে। এগুলোসহ বিশেষায়িত ও শীর্ষস্থানীয় চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি পরিসর থাকার সম্ভাবনা রয়েছে জিএসটি গুচ্ছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত এ গুচ্ছ থাকতে পারে।  শুরুতে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকলেও অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে পরীক্ষা নেবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। 

এবার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আগের বছরের চেয়ে বেশি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। দেশে অর্ধশতাধিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গুচ্ছ থেকে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ায় বেশি পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে ভর্তিচ্ছুদের। এতে ভোগান্তি ও খরচ বাড়বে। এতে অবশ্য চান্স পাওয়ার সুযোগও বাড়বে। এসব পরীক্ষায় ঝুঁকিও আছে।

সবমিলিয়ে এবার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আগের বছরের চেয়ে বেশি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। দেশে অর্ধশতাধিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। গুচ্ছ থেকে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ায় বেশি পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে ভর্তিচ্ছুদের। এতে ভোগান্তি ও খরচ বাড়বে। এতে অবশ্য চান্স পাওয়ার সুযোগও বাড়বে। এসব পরীক্ষায় ঝুঁকিও আছে। অধিকাংশই হয় এমসিকিউ টাইপের প্রশ্নপত্র। ফলে ভুল করার সুযোগ কম। সামান্য ভুলেই ভঙ্গ হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির স্বপ্ন।

এসসিকিউ উত্তরপত্রে প্রার্থীর নাম, রোল নম্বরসহ কিছু তথ্য দিয়ে বৃত্ত পূরণ করতে হয়। এগুলো পূরণে সতর্ক না হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে বাতিল হতে পারে উত্তরপত্র। সাধারণত এমন ভুলে নতুন উত্তরপত্র দেওয়া হয় না। প্রশ্নের উত্তরের বৃত্ত ভরাটের সময়ও অনেক সময় বড় ধরনের ভুল হয়। 

দেখা যায়, অনেকে একটি প্রশ্ন বাদ দিয়ে পরেরটির উত্তর দেন। সেক্ষেত্রে বাদ দেওয়া প্রশ্নের বৃত্তও ভরাট বাদ রাখতে হয়। কিন্তু অসচেতনায় পরের প্রশ্নের জন্য আগের বৃত্তটি ভরাট করে ফেলেন। এতে উত্তর সঠিক হলেও ভুল বৃত্তের কারণে দুটি প্রশ্নের উত্তর বাতিল হবে। এর সঙ্গে থাকবে নেগেটিভ মার্কিং। ফলে পরীক্ষার ফলাফলে অনেক পিছিয়ে যেতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, এক নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় অনেক পিছিয়ে পড়তে হয়। সেখানে ২-৩ নম্বরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স নাও হতে পারে। এখন শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। প্রস্তুতির পাশাপাশি সময়সূচির হালনাগাদ তথ্য রাখতে হবে। না হলে গড়মিল হতে পারে। নষ্ট হতে পারে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ। এ জন্য সব দিকে মনোযোগী থাকাটাই ভর্তিচ্ছুদের জন্য একটি পরীক্ষা।

আরো পড়ুন: ভর্তি আবেদন চলছে চার বিশ্ববিদ্যালয়ের, সময়সূচি জানা গেল যেসব প্রতিষ্ঠানের

এমসিকিউ পরীক্ষায় যাতে ভুল না হয়, সে জন্য আগে থেকে এ বিষয়ে চর্চা থাকা ভালো। সেক্ষেত্রে মডেল টেস্ট দেওয়া যেতে পারে। এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য বাজারে নানা ধরনেরই গাউড পাওয়া যায়। সেগুলো কিনে বাসায় বসেই প্রস্তুতি নেওয়া যায়। এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বিশেষ করে শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। এ জন্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। ছোট কোনও ভুল এতে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। ফলে সবদিকে সচেতন থাকা জরুরি।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।


সর্বশেষ সংবাদ