১০ হাজার টাকায় ডেন্টালের প্রশ্ন, ব্যবস্থা নিচ্ছে অধিদপ্তর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২২, ০৭:০৫ PM , আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২২, ০৭:১১ PM
মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছে একটি চক্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে এই প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এটিকে প্রতারণা উল্লেখ করে এই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, আগামী শুক্রবার (২২ এপ্রিল) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ‘এডমিশন হেলপিং সেন্টার’ নামক একটি পেজ থেকে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। শতভাগ প্রশ্ন কমনের নিশ্চয়তা দিয়ে ওই পেজটিতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একাধিক শিক্ষার্থীর ভুয়া নম্বরপত্র দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন দেওয়ার বিষয়ে ওই পেজটিতে কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তারা কোনো প্রকার সাজেশন দেবে না। শিক্ষার্থেীদের হুবহু প্রশ্ন দেয়া হবে।। প্রশ্ন শতভাগ কমন আসবে। ফাঁসকৃত প্রশ্ন ৫০ জনকে দেওয়া হবে। ৫০ জনের বেশি কাউকে দেওয়া হবে না। প্রতিটি প্রশ্ন ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হবে। ফাঁসকৃত প্রশ্ন তাদের নিকট সংরক্ষিত আছে। টাকা পরিশোধ করে পেজে মেসেজ করলেই প্রশ্ন পেয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা। টাকা পরিশোধ করার জন্য একটি বিকাশ, নগদ ও রকেট নাম্বর (01628675844) দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই নাম্বারে কল দেওয়া হলে নাম্বারটি সার্বক্ষণিক বন্ধ দেখাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সব বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে না আসলে স্বতন্ত্র পরীক্ষা নেবে জবি
ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়েছে, টাকা পাঠানোর পর তাদের ইনবক্স করে জানাতে হবে। যে নাম্বার থেকে টাকা পাঠানো হয়েছে সে নাম্বারের শেষ সংখ্যা অথবা স্ক্রিনশট দিতে হবে। প্রশ্ন নিতে চাইলে যত দ্রুত সম্ভব টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ফাঁদ। ডেন্টালের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একটি চক্র প্রতি বছরই এ ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা হাতিয়ে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি ওই পেজের পোস্টগুলো দেখেছি। পেজে দেওয়া নাম্বার এবং স্ক্রিনশটগুলো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হবে। এই চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।