গুচ্ছের বৈঠকে আলোচনায় ‘সেকেন্ড টাইম’ ইস্যু

ভর্তি পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা  © ফাইল ফটো

গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করতে বৈঠক করেছেন উপাচার্যরা। ওই সভায় শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

জানা গেছে, গত রবিবার (৬ মার্চ) ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। বৈঠকে সেকেন্ড টাইম রাখা, একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী না পাওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক সমস্যা, পরীক্ষার কেন্দ্রের আসন বাড়ানোসহ বিগত পরীক্ষার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়গুলো কীভাবে সমাধান করা যায় সেটির দিকেও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এই সভাটি বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষার ইতি টানতে আয়োজন করা হয়েছিল। তবে সেখানে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ অন্যতম ছিল। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনটিতে সেকেন্ড টাইম থাকবে আবার কোনটিতে থাকবে না এমন দ্বৈত নীতির সমালোচনাও করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: মে’র শেষে অথবা জুনের শুরুতে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা: ভিসি

বৈঠক উপস্থিত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের সেকেন্ড টাইম সুযোগ দেয়ার যে বিষয়টি সামনে এসেছে সেটি নিয়ে দোটানায় রয়েছেন অনেকে। কেননা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখা হলেও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেয়নি। এতে অন্যদের উপর চাপ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে শিগগিরই নতুন করে বৈঠকে বসবেন তারা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের যে সভাটি হয়েছে সেটি মূলত গত বছরের ভর্তি কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করতে। বৈঠকে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখার বিষয়সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডেন্টাল ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

গুচ্ছে সেকেন্ড টাইম থাকছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে যবিপ্রবি উপাচার্য আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অনেক উপাচার্যই চাচ্ছেন সেকেন্ড টাইম থাকুক। আমরা চাই সেকেন্ড টাইম থাকলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকুক। আর না থাকলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই যেন না থাকে। আগামী সপ্তাহে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ