ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: চবি ভর্তি পরীক্ষা কী স্থগিত হবে?

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

আগামীকাল রোববার দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ১৬ মে থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে কি না তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকরা। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো থেকে অনেক শিক্ষার্থী চবি ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। এই মুহূর্তে নিজেদের জীবন বাঁচানো নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন। অনেকেই আশ্রয়স্থলের দিকে ছুঁটছেন। তারা পরীক্ষার কোনো প্রস্তুতি নিতে পারছেন না।

তারা জানান, আগামীকাল ঘূর্ণিঝর আঘাত হানলেও এর প্রভাব পরদিন সোমবারও থাকবে। আর চবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে। এছাড়া ৫টি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। এই অবস্থায় চবির ভর্তি পরীক্ষাও পেছানো দরকার।

ইশরাত জাহান নামে এক ভর্তিচ্ছু জানান, আমি কক্সবাজারে থাকি। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে গত কয়েকদিন ধরে কোনো প্রস্তুতিই নিতে পারিনি। ঝড়ের প্রভাব কখন শেষ হবে সেটি কেউ বলতে পারবে না। এই অবস্থায় নিজের এবং পরিবারের জীবন বাঁচানো নিয়েই চিন্তায় রয়েছি। কর্তৃপক্ষের উচিত সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৬ মে’র পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চবির ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা রবিবার এবং সোমবার পর্যন্ত একটু দেখতে চাই। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা দেখতে চাই। এরপর আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। পরবর্তী সিদ্ধান্ত অবশ্যই জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী আগামী ১৬ মে ক ইউনিট, ১৮ মে খ ইউনিট, ২০ মে গ ইউনিট, ২২ মে ঘ ইউনিট, ২৪ মে বি১ উপ ইউনিট এবং ২৫ মে ডি১ উপ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।


সর্বশেষ সংবাদ