রাশিয়ায় জিম থেকে পুরুষদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেনাবাহিনীতে

রাশিয়ায় জিম থেকে পুরুষদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
রাশিয়ায় জিম থেকে পুরুষদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে  © সংগৃহীত

রুশ সেনাবাহিনীতে যোগদানে বাধ্য করতে জোর করে জিম থেকে পুরুষদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর একটি জিমে হঠাৎ করেই পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলে। তখন কয়েকজন অভিবাসী সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া এড়াতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। 

ব্রিটিশ সংবাদ দ্য টেলিগ্রাফ শনিবার (১৯ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। 

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই ধরনের অভিযান রাশিয়ার অনেক শহরে ঘটছে। কারণ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন করে ১,৬০,০০০ জন পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এটি ২০১১ সালের পর সবচেয়ে বড় সেনা নিয়োগ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, জিমে থাকা পুরুষদের পুলিশ প্রথমে দু’ভাগে ভাগ করে—রাশিয়ার নাগরিক এবং অভিবাসী। রাশিয়ানদের সেনা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখে নিয়োগ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। আর যারা অভিবাসী, তাদের বলা হয়—চাইলে সেনাবাহিনীতে যোগ দাও, না হলে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। 

অনেক সময় পুরুষদের জোর করে বা ভয় দেখিয়ে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হচ্ছে। কারও কাগজপত্র ঠিক থাকলেও, তাকে নিয়োগ অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুধু “যাচাইয়ের” কথা বলে।

মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মূলত অভিবাসী বা রাশিয়ান নন এমন জাতিগোষ্ঠীর লোকজনকে টার্গেট করা হচ্ছে। “জাতিগত জিম”—যেখানে বেশি অভিবাসী যায়, সেখানে বেশি অভিযান চলছে।

এছাড়াও, যারা সরকারি চাকরি করেন বা কারখানায় কাজ করেন, তাদের বলা হচ্ছে—যদি সেনাবাহিনীতে যোগ না দাও, তাহলে চাকরি যাবে।

তবে শুধু ভয় দেখানো নয়, বরং টাকার লোভও দেখানো হচ্ছে। এখন যারা স্বেচ্ছায় যোগ দিচ্ছেন, তারা ভালো অঙ্কের সাইনিং বোনাস পাচ্ছেন। তাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগদানের সংখ্যা বেড়েছে।

এই সময়েই রাশিয়া সেনাবাহিনীতে আরও লোক নিচ্ছে, যখন পশ্চিমা বিশ্ব (বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র) যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া এখনই যুদ্ধ থামাতে চায় না। বরং আরও এলাকা দখল করে, পরে শান্তিচুক্তির চিন্তা করছে।


সর্বশেষ সংবাদ