গ্রেফতারি আবেদন পড়তেই তড়িঘড়ি যুক্তরাজ্য ছাড়লেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫০ PM , আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫০ PM

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন জমা পড়ার পর যুক্তরাজ্য থেকে সফর সংক্ষিপ্ত করে তড়িঘড়ি করে ইসরায়েলে ফিরে গেছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়োন সার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গ্লোবাল লিগ্যাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (জিএলএএন)।
সংগঠনটি জানায়, গিদিয়োন সারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন জমা দেওয়া হলে তিনি আর সময় নষ্ট না করে সফর বাতিল করে নিজ দেশে পালিয়ে যান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, জিএলএএন-এর পাশাপাশি হিন্দ রজব ফাউন্ডেশনও ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে এই গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন জমা দেয়।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ এক পোস্টে গ্লোবাল লিগ্যাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক জানান, “জরুরি: আমাদের তথ্য অনুযায়ী, গিদিয়োন সার যুক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একটি চলমান তদন্তে গুরুতর অপরাধের অভিযুক্ত। কেউ তাকে দেখতে পেলে দয়া করে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশকে জানান। তবে তার কাছে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে, কারণ তার সঙ্গে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী থাকতে পারে।”
এর আগে মঙ্গলবার ইসরায়েলি ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে গোপন একটি বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়, যেখানে বলা হয়— গোপনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গিদিয়োন সার। পরবর্তীতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, বৈঠকটি ছিল ‘ব্যক্তিগত’, যেখানে গাজা ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
স্কটল্যান্ডের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, গিদিয়োন সারের মূলত শনিবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে থাকার কথা ছিল। তবে হঠাৎ করেই সফর সংক্ষিপ্ত করে তিনি দেশ ত্যাগ করেন।
এই ইসরায়েলি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখাসহ সেখানকার চিকিৎসক, রোগী এবং স্টাফদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। একই সময়কালে হাসপাতালের পরিচালক ড. হুসাম আবু সাফিয়াকে অপহরণের সঙ্গেও তিনি সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া তিনি গাজার বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধে মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। এই কারণে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হয়েছে।