জাবিতে কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনকে গুণীজন সম্মাননা

সেলিনা হোসেনকে গুণীজন সম্মাননা
সেলিনা হোসেনকে গুণীজন সম্মাননা  © টিডিসি ফটো

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক এবং বাংলা একাডেমি সভাপতি সেলিনা হোসেনকে গুণীজন সম্মাননা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবৃত্তি সংগঠন "ধ্বনি"।

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদের সেমিনার কক্ষে ধ্বনি'র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী রজতজয়ন্তী আবৃত্তি উৎসবের ৬ষ্ঠ দিনে এ সম্মাননা দেয়া হয়।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা বলেন, 'সেলিনা হোসেন তার লেখনীর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সমানভাবে জনপ্রিয়। তার খ্যাতি শুধুমাত্র একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে নয়। তিনি একজন লড়াকু মানুষ। সমাজের নানা সংকটে তিনি লেখনীর পাশাপাশি সশরীরেও এসে উপস্থিত হয়েছেন। তার কথা ও লেখনীতে তরুণরা অনুপ্রাণিত হয়েছেন, দীক্ষিত হয়েছেন।'

আরও পড়ুন: ৪১তম বিসিএস প্রিলির ফল শিগগিরই: চেয়ারম্যান

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক রায়হান রাইন বলেন, 'সেলিনা হোসেন এমন একজন মানুষ যার কর্মকে অল্প কথায় তুলে আনা যায় না। আমাদের বেড়ে উঠার সাথে তার উপন্যাস জড়িত। তার নীল ময়ুরের যৌবন পড়ে আমরা পড়তে শিখেছি। তার ছোটগল্প পড়েই লিখতে শিখেছি। তাকে গুণীজন সম্মাননা দেয়া আমাদের জন্য খুবই আনন্দের একটা উপলক্ষ্য।'

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, 'আমার শৈশব কৈশোর কেটেছে বগুড়ার করতোয়া নদীর তীরে। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে দেশের মানুষকে ভালবাসতে হয়। সেখানকার পরিবেশ আমাকে মানবিক দর্শনের জায়গাটা বুঝতে শিখিয়েছে। আমি ছোট-বড় মিলিয়ে ১২৫ টি বই লিখেছি। আমার লেখাগুলো দেশে ও পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ১১ টা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। দেশে আমার রচনার উপর ১৩টি পিএইচডি হয়েছে। আমার লেখাগুলো তরুণদের কাছে যাচ্ছে। এক জীবনে এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।'

তিনি আরও বলেন, 'শুধু বই পড়ে নয়, মানবিক দর্শন থেকে শিক্ষাকে প্রসারিত করতে হবে। প্রতিটি মানুষের প্রজ্ঞার জায়গা থাকা উচিত। সমাজের সবার জন্য একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে। তাহলেই সামাজিক মূল্যবোধ ঠিক থাকবে৷ নইলে সুন্দর সমাজটা ঘৃণার জায়গায় পরিণত হবে।'

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনওয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া। উপস্থিত ছিলেন ধ্বনি'র আবৃত্তি শিল্পী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা৷

উল্লেখ্য, ‘প্রশ্ন তুলুক মুক্ত ধ্বনি, ঘুচুক আঁধার কালের ফণী’ স্লোগানকে ধারণ করে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বর্ণাঢ্য র‍্যালীর মাধ্যমে সপ্তাহব্যাপী আবৃত্তি উৎসব শুরু হয়। শুক্রবার(৯ সেপ্টেম্বর) ধ্বনির প্রাক্তন সদস্যদের পুনর্মিলনীর মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে উৎসবের।

 


সর্বশেষ সংবাদ