রাবির হলকক্ষে ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ মিথ্যা: দাবি ছাত্রলীগ নেতার

ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন
ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন   © টিডিসি ফটো

হলকক্ষে আটকে রেখে বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্রকে নির্যাতনের পর টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিৎ প্রসাদ বৃত্ত। 

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের প্রতিবাদ জানিয়ে এ দাবি করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে সুরঞ্জিৎ প্রসাদ বৃত্ত বলেন, ১৭ আগষ্ট হলকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আল - আমিন নামের ছাত্রকে আটকে রেখে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কেননা ঘটনার দিন বিকেল বেলা বঙ্গবন্ধু হলের সামনে বন্ধুসহ তাকে সাবেক কর্মস্থলের মালিক মার্কেটিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মোমিনুর রহমান এবং গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শশীর সাথে তাদের ফ্রিলান্সিং কোম্পানির কোন একটা ঝামেলা নিয়ে কথা বলতে দেখি। তখন আমি তাদের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা শুনি। সেখানে আল-আমিনের ১৫ ২০ জন বন্ধু উপস্থিত ছিল। 

বৃত্ত আরো বলেন, মোমিনের বক্তব্য অনুযায়ী আল - আমিন তার কোম্পানির কর্মকর্তা ছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি মিথ্যা বলে চাকুরি ছেড়ে দেন। মোমিনের কোম্পানির অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ক্লায়েন্ট সে ছলছাতুরির মাধ্যমে নিয়ে যায় এবং মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেন। পরবর্তীতে আল-আমিন তার দোষ স্বীকার করে নেয় এবং মোমিনের কোম্পানির সকল ক্ষতি পুষিয়ে দিবে বলে সবার সামনে স্বীকারোক্তি দেয়। তবে এ প্রতারণার বিষয়টি তার সম্মান রক্ষার্থে প্রচার না করার জন্য মোমিন এবং শশীকে অনুরোধ জানায়।

আরও পড়ুন: রাবি ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য রক্ষায় অবৈধ ৫০ দোকান উচ্ছেদ

এছাড়া সন্ধ্যায় উভয়পক্ষ টুকিটাকি আসেন। মোমিন , শশী , আল-আমিন এবং তার বন্ধুদের উপস্থিতে বিষয়টির সুরাহা হয়। সেখানেই সেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটে। তাকে সাথে মারধর কিংবা অর্থ লেনদেনের সাথে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার এবং ভাস্কর সাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যে , বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে জানান তিনি।

এসময় সম্মেলনে অভিযুক্ত অন্য দু'জন মতিহার হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা ও অ্যামাজোপিফাই লিমিটেড’ আইটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ ওরফে শশী উপস্থিত ছিলেন। 

এরআগে, ২৫ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে হলকক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন, জোরপূর্বক রেকর্ড ও ডেবিট কার্ড থেকে ৪৫ হাজার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ তোলেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আল- আমিন। চিঠিতে জানা যায় - নির্যাতনের পর ভয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ছাত্র। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিৎ প্রসাদ বৃত্ত ও মতিহার হলে সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা ও অ্যামাজোপিফাইয়ের চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ ওরফে শশী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুমিনুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকি উদ্দিন সহ অন্যান্যকে অভিযুক্ত করেন ভুক্তভোগী এ শিক্ষার্থী।


সর্বশেষ সংবাদ