জাবিতে সিনিয়রকে অপমান করায় উত্তেজনা-দোকান ভাংচুর

দোকানের ভাঙ্গা প্লেট
দোকানের ভাঙ্গা প্লেট   © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলায় জুনিয়র কর্তৃক সিনিয়রকে অপমানকে কেন্দ্র করে অপরপক্ষের একজন তুলে নেওয়ার অভিযোগে দোকান ভাংচুর করেছে মীর মশাররফ হোসেন হলের উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার ( ৪ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসানী হল সংলগ্ন বটতলায় এ ঘটনা ঘটে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা তখন খাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে কিছু ছাত্র লাঠি ও রড নিয়ে এসে দোকান বন্ধ করতে বলে এবং দোকান ভাংচুর করে। এসময় খাওয়ার সময়টুকুও দেওয়া হয় নি। তখন দোকান থেকে তাড়াহুড়ো করে চলে যাই।

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমি রিকশায় করে বঙ্গবন্ধু হলের দিকে যাচ্ছিলাম কিন্তু একসাথে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে লাঠি ও রড সহ রিকশার সামনে মারধর শুরু করে। এরপর দ্রত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।

মীর মশাররফ হল থেকে ভাসানী হলের দিকে আসার সময় শতাধিক শিক্ষার্থী মিলে নিচু বটতলার রাস্তার দুদিকে থাকা ভাসমান দোকানগুলোতে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এরপর ভাসানী হল সংলগ্ন খাবারের দোকানগুলোতে প্লেট, লাইট সহ বিভিন্ন সামগ্রী ভাংচুর করে  অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে স্লোগান দিতে থাকে তারা।

আরও পড়ুন: জাবির ডি ইউনিটে পাসের হার ৫৯.১৬ শতাংশ

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন,  যে বা যারাই এ ধরনের কাজ করে থাকুক এটি অন্যায় ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী। তবে একইসাথে বহু মানুষ এ ধরনের কাজ করে থাকায় তৎক্ষনাৎ শনাক্ত করা ও ব্যবস্থা নেয়া কঠিন। পরবর্তীতে অভিযোগ পাওয়া ও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। মীর মোশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী খালিদ হোসেনসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মাঠে ফুটবল খেলছিলো। এসময় ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাপালি মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলো। তাকে কয়েকবার সরে যেতে বললেও তিনি সরেননি। পরে খেলা চলাকালে বলের পিছে ছুটতে গিয়ে খালিদ কাপালির গায়ের উপরে পড়েন। এসময় কাপালি খালিদকে চড় মারেন।

পরে সেখানে ভাসানী হলের নিবিড়, সাজ ও হিমু উপস্থিত হন। তারা খালিদকে জোর পূর্বক বাইকে তুলে হলে নিয়ে যেতে চায়। এসময় মীর মোশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সজীব এসে বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর দুই হলের সিনিয়ররা এসে বিষয়টা মিটমাট করেন।

এ ঘটনার জেরে মীর মোশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা রড ও লাঠিসোটা নিয়ে ভাসানী চত্বরে এসে দোকানপাট ভাংচুর করে। এসময় ভর্তিচ্ছু এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।


সর্বশেষ সংবাদ