ওয়াইফাই বিচ্ছিন্ন-পানি নেই, সমস্যায় জর্জরিত রাবির মাদার বখ্শ হল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হল  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলে যেন সমস্যা লেগেই থাকে। হলটিতে সংকটেরও যেন কোন শেষ নেই। গত তিন দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে হলের ওয়াইফাই সংযোগ। এছাড়াও হলের তিনটি ব্লকের প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একটি টিউবওয়েল। ফলে খাবার পানির সংকটে ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালেও সমস্যা সমাধানে তারা কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না। প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হলটির ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, হলের কোনো ওয়াইফাই রাউটারেই সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া শিক্ষার্থীদের খাবার পানির জন্য হলের ভেতর তিনটি টিউবওয়েল থাকলেও শুধু মসজিদের সামনের একটি টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করা যায়। দ্বিতীয় ব্লকের সামনে আরেকটি টিউবওয়েল থাকলেও সেটার পানিতে প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকার কারণে ব্যবহার করার অনুপযুক্ত বলে জানান তারা। 

সংযোগ চালু থাকার সময়ও তা ছিলো ‘নামমাত্র’ ওয়াইফাই, এমন অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা বলেন, এই ইন্টারনেট দিয়ে কোনো সাইটই ঠিক মতো ব্রাউজ করা যায় না। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডাউনলোড দেওয়ার কথা তো চিন্তাই করা যায় না।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবাদুল্লাহ্ মিয়া বলেন, ‘আমাদের হলের যে ওয়াইফাই, তাতে মাঝেমধ্যে কানেক্ট করাই যায় না। এই ওয়াইফাই দিয়ে কোনো ক্লাস করা বা দরকারী ডকুমেন্টস ডাউনলোডও দেওয়া যায় না। একটা ব্লকে মাত্র দুইটা করে রাউটার। কোনো কোনো ব্লকে একটা করে রাউটার।

আরও পড়ুন: কী এমন ছিলো রাবির আগের লোগোতে!

খাবার পানির সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ১০১ নম্বর রুম থেকে শুরু করে ৪৫৬ নম্বর রুমের শিক্ষার্থীরা মাত্র একটি টিউবওয়েল থেকে পানি সংগ্রহ করে। একটা টিউবওয়েলের উপর এতো চাপ থাকার কারণে দুই একদিন পরপরই ওই টিউবওয়েলটিও নষ্ট হয়ে যায়। তখন আর পানিই পাওয়া যায় না।

হলের আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সমস্যা নিয়ে হল প্রশাসনের কাছে গিয়ে কখনোই কোনো প্রতিকার পাওয়া যায় না। একটা হল কিভাবে চলছে, সেদিকে কারো কোনো নজর নেই। সিট সংক্রান্ত ঝামেলায় প্রাধ্যক্ষের কাছে গেলে তিনি ‘উল্টাপাল্টা’ বুঝিয়ে বিদায় করে দেন।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসাইন বলেন, ওয়াইফাই সমস্যার কথাটি আমি অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি আইটি সেন্টারে জানানো হয়েছে। টেকনিক্যাল কারণে মেইন লাইন থেকে এ সমস্যাটা হয়েছে বলে তারা আমাকে জানিয়েছেন। তারা সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু দিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এ সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া পানি সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, পুরো হল জুড়ে একটা টিউবওয়েল যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা খাবার পানি সংগ্রহ করে। এতে কিছুটা সমস্যা হয়। তবে এসমস্যা থেকে শিক্ষার্থীদের
উত্তরণের জন্য সাবমারসিবল সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা সেখান থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করতে পারেন বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence