দেবী সরস্বতী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানের মূর্ত প্রতীক: চবি ভিসি

সনাতন ধর্ম পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছেন চবি উপাচার্য
সনাতন ধর্ম পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কথা বলছেন চবি উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‍উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানের মূর্ত প্রতীক হলো দেবী সরস্বতী। যুগ যুগ ধরে আবহমান বাংলায় আমাদের সংস্কৃতির অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে এ পূজা-পার্বণসহ বিভিন্ন ধর্মের আচার অনুষ্ঠানগুলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্ম পরিষদের উদ্যোগে বাণী অর্চনা-২০২২ উপলক্ষে শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) উত্তর ক্যাম্পাসস্থ কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপান করা হয়। কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাণী অর্চনা, সম্মাননা স্মারক প্রদান, ভজনকীর্তন, ঢাক-শাঁখ-ধুনুচি নৃত্য ইত্যাদি। এ উপলক্ষে এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা সরস্বতী দেবীর আরাধনা করি: সৌমিত্র শেখর

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে চবি উপাচার্য বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য ভূমি আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। সকল ধর্মের মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সহমর্মিতার সাথে এ দেশে বসবাস করে আসছে। এখানে ধর্ম যার যার হলেও সকলে মিলেমিশে উৎসব উষদাপন করে থাকে।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ মূলনীতির উপর ভিত্তি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এ বাংলাদেশে কোন সাম্প্রদায়িকতার স্থান হবে না।

চবি সনাতন ধর্ম পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাপসী ঘোষ রায়ের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. সঞ্জীব কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখনে চবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. শংকর লাল শাহা, বাণী অর্চনা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. অনিমেষ বিশ্বাস প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ