ঢাবি-রাবিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সমান, শিক্ষক অনুপাতে পিছিয়ে রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

শিক্ষার্থীর সংখ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ঢাবির সমান হলেও শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যায় ঢাবি, জাবি ও চবি তুলনায় দ্বিগুণ পিছিয়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১০ জানুয়ারি ইউজিসি প্রকাশিত তথ্য মতে, দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাবিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৩৮৩ জন যার বিপরীতে শিক্ষক সংখ্যা ২ হাজার ৪২১ জন। অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৩৮ হাজার ২৯১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে প্রায় ঢাবির সমান হলেও শিক্ষক সংখ্যা ১ হাজার ৯৭ জন, যা ঢাবির তুলনায় অর্ধেকেরও কম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে অন্য দুই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পিছিয়ে রাবি। জাবি ও চবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২২, যেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপাত ১:৩৫। এছাড়াও ঢাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১৬।

বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রতি ৩৫ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ১ জন শিক্ষক।

 আরও পড়ুন: তীব্র সেশনজটের হতাশায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর আত্মহত্যা 

বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে দলাদলি ও মামলা মোকদ্দমার কারণে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। যার কারণে শিক্ষক সংখ্যা কম। আমাদের যে শিক্ষা পদ্ধতি, এখানে শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মিথস্ক্রিয়া ক্লাসে সীমাবদ্ধ। সেক্ষেত্রে এ অনুপাত (১:৩৩) সমস্যা নয়। কারণ এক শিক্ষক ক্লাসে ৫০ জন শিক্ষার্থীর ক্লাস নিতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়ায় চলার কথা অর্থাৎ ক্লাসের বাইরে দিনের একটা সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকের মিথস্ক্রিয়া থাকবে। তারা একসাথে গবেষণা করবে। সেক্ষেত্রে কেবল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২০ হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অর্থব্যয়ের প্রয়োজন নেই।’

আরও পড়ুন: তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় ধাপে সুযোগ ২৭ ফেব্রুয়ারির পর

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম জানান, শিক্ষক নিয়োগ দিলেই যে শিক্ষার মান বেড়ে যাবে, বিষয়টা এমন নয়। আমাদের যে সংখ্যক শিক্ষক আছে তারা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের পরিচর্যা করলে শিক্ষক সংখ্যার অনুপাত খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মনে করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ডিপার্টমেন্টে যদি শিক্ষক সংকট থাকে তাহলে ওই বিভাগের সভাপতি মূল্যায়ন করে প্রশাসনকে অবগত করবেন। তাছাড়া দ্রুত সময়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা পাশ হয়ে গেলে শিক্ষক অনুপাতের সংখ্যা কিছুটা কমে আসবে।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence