করোনাকালে আত্মহত্যা নিয়ে গবেষণায় বিশ্বসেরা গবেষক জাবির মামুন
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৩৭ PM , আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:২৯ PM
করোনাজনিত আত্মহত্যা নিয়ে সর্বোচ্চ পেপার প্রকাশ এবং সাইটেশন অর্জন করে সারা বিশ্বের গবেষকদের তালিকায় প্রথম স্থান লাভ করেছেন এটিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এশিয়ার জার্নাল অব সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় করোনাজনিত আত্মহত্যার গবেষণাপত্র বিশ্লেষণ করে শ্রেষ্ঠ গবেষক এবং শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হারভার্ড মেডিকেল স্কুল, নবম অবস্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং দশম অবস্থানে রয়েছে সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশনস নেটওয়াকিং ট্রেনিং একশন রিসার্চ, বাংলাদেশ।
জার্নালে আরও উল্লেখ করা হয়, করোনাকালে মানুষের আত্মহত্যামূলক আচরণ নিয়ে বিশ্বের ৭৮টি দেশ থেকে ২৯০ জন গবেষকের ৬৮৬টি পেপার প্রকাশিত হয়। যেখানে গবেষকদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮৬টি এবং যার সাইটেশন সংখ্যা ৭৯৭০। করোনার শুরু থেকে ১৭ মে ২০২১ পর্যন্ত করোনাকালে আত্মহত্যামূলক আচরণের উপর এ গবেষণা চালান তারা।
এটিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আত্মহত্যা নিয়ে গবেষকদের মধে প্রথম অবস্থানে নিজের নাম দেখতে পাবার সৌভাগ্য হবে-সেটা কখনই কল্পনাও করিনি; বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ পেপার আমিই প্রকাশ করি এবং সর্বোচ্চ সাইটেশন অর্জনও করি। পাশাপাশি, গবেষকদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমার দুটি প্রতিষ্ঠান-জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশনস নেটওয়াকিং ট্রেনিং একশন রিসার্চ, বাংলাদেশ এর নাম এসেছে! আলহামদুলিল্লাহ!
এটিএম আব্দুল্লাহ আল মামুন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি গবেষণা পাশাপাশি ২০১৭ সালে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশনস নেটওয়াকিং ট্রেনিং একশন রিসার্চ, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।
এর আগে, আমেরিকার স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বসেরা গবেষক ও বিজ্ঞানীদের এক তালিকা প্রস্তুত করে যেখানে বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকদের তালিকায় এটিএম মামুনের নাম উঠে এসেছে। যা পিএলওএস বায়োলজি নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়াও ২০২০ সালের পারফরম্যান্স অনুযায়ী র্যাংকিং তালিকায় বাংলাদেশী ৯৭ জন গবেষকদের মধ্যে তিনি ১৩তম অবস্থানে রয়েছেন। তার মোট গবেষণা নিবন্ধের সংখ্যা ৯৬। পাশাপাশি, সাইকিয়াট্রি সাব-ফিল্ডে সারাবিশ্বে তার অবস্থান ৫১২তম এবং সাইটেশন সংখ্যা ৩ হাজার ১০০।