২২ ঘণ্টা ধরে অনশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ PM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ PM

মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে ২২ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের ৯ জন শিক্ষার্থী। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে কাঁথা-বালিশ বিছিয়ে অনশন করছেন। সোমবার বেলা ৩টা থেকে অনশন শুরু হয়েছে, যা এখনও চলমান রয়েছে। ৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজন ছেলে ও চারজন মেয়ে।
তারা হলেন চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হাসান সোহেল, ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম, ২০১৯-২০ সেশনের নূর ইকবাল সানি, ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইয়ামিন, একই সেশনের শিক্ষার্থী মালিহা চৌধুরী, ইসরাত জাহান, নুসরাত জাহান ইপা, ২০২৩-২৪ সেশনের তরিকুল ইসলাম মাহী ও একই সেশনের শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম মিনহাজ।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ ও কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এপ্রিলের আগেই মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের ঘোষণা দিলেও এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি।
অনশনরত শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান বলেন, ‘আমরা গতকাল দুপুর থেকে অনশন করছি। এর আগে আমরা দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে ফেরার আন্দোলন করেছি। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিলেও চারুকলা ক্যাম্পাসের আলোর মুখ দেখছে না। এখানে আমাদের চারুকলার যেসব শিক্ষক রয়েছেন, তারাই মূলত বাঁধা প্রদান করছেন। তারা সহযোগিতা না করায় আমরা ক্যাম্পাসে ফিরতে পারছি না। দ্রুত সময়ের মধ্যে চারুকলাকে ক্যাম্পাসে দেখতে চাই। আমরা এভাবে শুধু আন্দোলনই করে যাব?’
আরো পড়ুন: ‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করিনি বলেই কি সরকার আমাদের দিকে তাকাচ্ছে না’
আরেক শিক্ষার্থী মাসকুল ফাহিম বলেন, ‘প্রশাসনের অনেকেই আমাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। আমাদের দাবি হলো, একটা যৌক্তিক সমাধানের মাধ্যমে চারুকলা ইন্সটিটিউটকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হয়। এখনও কেন এই কাজে বিলম্ব হচ্ছে, এটা আমাদের প্রশ্ন। আমরা এত সময় ধরে অনশনরত অবস্থায় আছি। কিন্তু চারুকলা ইন্সটিটিউট নিয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখছি না।’
উল্লেখ্য, আবাসন সংকট, জীবনযাত্রার অত্যধিক খরচ, চারুকলার ভবনসমূহের বেহাল দশাসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ক্যাম্পাসে ফিরতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে আন্দোলনের পর প্রশাসন ১ এপ্রিল থেকে ক্যাম্পাসে ক্লাস করার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর না হওয়ায় অনশন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।