গণহত্যা দিবসে ঢাবিতে এক মিনিট ‘ব্লাক-আউট’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ PM , আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৬ PM

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাত্রি স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাত ১০টা ৩০ থেকে ১০টা ৩১মিনিট পর্যন্ত জরুরি স্থাপনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় এক মিনিট ‘ব্লাক-আউট’ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এদিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এতে বক্তব্য দেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে ১৯৭১ সালের ২৫মার্চের গণহত্যাকে উপজীব্য করে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার একটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণহত্যা আরও বেদনাবিধুর। কেননা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অনেক সদস্যকে আমরা হারিয়েছি। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
তিনি বলেন, দেশটি স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছি। এই স্বাধীনতার পেছনে অকুতোভয় বীরসেনানীদের চরম আত্মত্যাগ রয়েছে। এই বীর সেনানীদের প্রতি আমাদের দায় আছে, রক্তের ঋণ আছে। রক্তের এই ঋণ আমাদের প্রতিদিন স্মরণ করতে হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতা আছে। এগুলো আমাদের জাতীয় জীবনের পরিচয় প্রদানকারী একেকটি মাইলফলক। বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং ন্যায্যতার প্রশ্নে প্রতিবারই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। এসব গৌরবময় ইতিহাস আমরা যেন ভুলে না যাই। আমরা যেন বিভাজিত না হই। জাতীয় স্বার্থে আমরা যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি।
আরো পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানদণ্ড না থাকায় দেশীয় গ্র্যাজুয়েটে আগ্রহ কম বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর
স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জগন্নাথ হল গণসমাধিতে মোমবাতি প্রজ্বালন ও শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে জগন্নাথ হল প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ’য় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।