ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাবিতে পদযাত্রা ও সমাবেশ
- রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৬ PM , আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৬ PM

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের জনগণের উপর নির্মম নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিকে ইসরায়েলী আগ্রাসনমুক্ত করার দাবিতে পদযাত্রা ও সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘উজান’ ও ‘উত্তরণ’ সাহিত্য পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে কাজলা পর্যন্ত এক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কাজলায় এক সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ এবং সঞ্চালনা করেন উত্তরণ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ বলেন, ‘ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু একটি রাজনৈতিক সংকট নয়, এটি মানবতার বিরুদ্ধে এক জঘন্যতম অপরাধ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা শুধু তাদের অধিকার নয়, এটি একটি ন্যায্য দাবিও। আমাদের সকলের দায়িত্ব হচ্ছে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, মানবতার পক্ষে দাঁড়ানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব বিবেক আজ নীরব হয়ে আছে। এই নীরবতা আরও বড় অন্যায়কে জন্ম দেয়। আমাদের এই প্রতিবাদ সেই নীরবতাকে ভেঙে দেওয়ার ছোট একটি প্রয়াস।’
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মাসউদ আখতার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম কনক, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জিএম সফিউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি শাখার সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু, সিবিএস পাঠশালার সাধারণ সম্পাদক মাহায়ের, খাপড়া পত্রিকার সম্পাদক নাদিম সিনা, ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আযাদ রহমান, জিওগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী লিমন এবং রাবি শিক্ষার্থী আবির প্রমুখ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম কনক তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের এই সংহতি শুধু ফিলিস্তিনের জন্য নয়, এটি বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের পক্ষে একটি কণ্ঠস্বর। বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় মানবতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হোক, সেটিই আমরা চাই। শিক্ষার্থীদের এই সচেতনতা আমাদের আশাবাদী করে তোলে যে, তারা আগামী দিনে ন্যায়ের পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন ইস্যু কোনো ধর্মীয় ইস্যু নয়, এটি মানবাধিকারের প্রশ্ন। তাই সবাইকে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চারুকলা বিভাগের শিক্ষক আব্দুস সালাম, ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক নাতাশা আফরিনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরায়েলী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে। একইসঙ্গে তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আন্তর্জাতিক সমাজের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানান।