চুয়েটে মাদক পাওয়ায় ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, শোকজ ৫

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট)
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট)  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কাছে মাদক পাওয়ার ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে তাদের হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৫ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ১৩টি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে গত ১১ মার্চ (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮৬তম জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ মার্চ শেখ রাসেল ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল ও হলের সহকারী প্রভোস্টরা। অভিযানের সময় দুটি কক্ষে ১৩ জন শিক্ষার্থী ও একজন ডাইনিং কর্মচারীকে সন্দেহজনক অবস্থায় পাওয়া যায়। তল্লাশি চালিয়ে গাঁজা, সিগারেট ও গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেয়।  

জানা গেছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনজন স্থাপত্য বিভাগের, তিনজন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এবং দুইজন পেট্রোলিয়াম ও মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের। অন্যদিকে, পুরকৌশল বিভাগের দুইজন, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের একজন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের একজন এবং জৈব চিকিৎসা কৌশল বিভাগের এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ নীতিমালার বিধি অনুযায়ী আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা নির্ধারণের জন্য অভিযুক্তদের আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদক নির্মূলে আমরা শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদকমুক্ত রাখতে আমাদের পরিদর্শক দল ও প্রভোস্টরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান রহমান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে চুয়েট প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকুক, যেন চুয়েট থেকে চিরতরে মাদক নির্মূল করা যায়। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, পূর্বে যারা মাদক কেলেঙ্কারির পরও বহাল তবিয়তে আছে, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হোক। কোনো অপরাধী যেন পার না পায়।


সর্বশেষ সংবাদ