কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা
কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তারা মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন সংসদ একাংশের কোষাধ্যক্ষ ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাইমুল হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধন শেষে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় তারা কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করাসহ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ বিচার দাবিতে তিন দফা দাবি পেশ করেন।

তাদের দাবিগুলো হলো: অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, এ ব্যাপারে প্রশাসনের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতার দায় স্বীকার ও শিক্ষাঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নীতিগত পরিবর্তন আনতে হবে।

আরও পড়ুন: প্রেমঘটিত কারণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘৫ আগস্ট স্বেরাচার পতনের পর সর্বপ্রথম অস্ত্র হাতে নেয় স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামের একটি ছাত্র সংগঠন তারপর ক্যাম্পাস গুলোতে অস্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। আমরা প্রগতিশীল ছাত্রসমাজ এর তীব্র নিন্দা জানাই। গতকাল কুয়েটে যে নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ঘটনার দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এড়াতে পারে না। যে প্রশাসন গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও রাজনৈতিক মতাদর্শের সহবস্থান নিশ্চিত করতে পারে না তাদের প্রশাসিক পদে কোনো অধিকার নাই। আবারও ক্যাম্পাসে যদি কেউ অস্থিরতা, অস্ত্রের রাজনীতি ও দখলদারিত্ব শুরু করে তাহলে আমরা পতিত ছাত্রলীগের মতো তাদেরকেও বিতারিত করব।’

জাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরির কথা ছিল তা প্রত্যেক জায়গায় বারবার ব্যাহত হয়েছে। গতকাল কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর যে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে ক্যাম্পাসগুলোয় ছাত্রলীগের একক আদিপত্য ছিল তখন কেউ তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ চর্চা করতে পারে নাই। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী আমরা চাই ক্যাম্পাসগুলোয় সব রাজনৈতিক সংগঠন নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ চর্চা করবে।’


সর্বশেষ সংবাদ