বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে পুনর্বহালের দাবি

ঢাবির জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

ঢাবির জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ
ঢাবির জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ  © ফাইল ফটো

বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে স্বপদে বহালের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি পেশ করেন। 

এ সময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বিভাগের প্রফেশনাল মাস্টার্সে পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাকে ভর্তির অভিযোগে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনশী শামস উদ্দিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের প্রফেশনাল মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগ নেতাদের ভর্তির কারণে বিভাগের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীবৃন্দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটির কার্যক্রম চলাকালীন আপনাকে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সবে কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হলো।

এদিকে উপাচার্যের কাছে লিখিত বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: জাহাঙ্গীর আলমকে অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক তার পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আমরা এ সিদ্ধান্তকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি এবং স্যারকে পুনরায় তার পদে পুনর্বহাল করা এবং একাডেমিক কাজে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত আমরা সব ধরনের ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করলাম। ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে’র জন্যই অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। 

এ বিষয়ে বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী রাহাত রেজওয়ান রুদ্র বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান স্যার এর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগের মাধ্যমে অপসারণের প্রতিবাদে সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ডিপার্টমেন্টে একত্রিত হয়ে, ব্যাচের প্রতিনিধিরা সবার স্বাক্ষর (দুই শতাধিক শিক্ষার্থী স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করে) স্মারকলিপিতে গ্রহণের পর প্রায় একশতাধিক এর বেশি শিক্ষার্থী আমরা রেজিস্টার বিল্ডিংয়ে উপস্থিত হই। সেখানে আমাদের প্রক্টর স্যার আমাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন যে আমাদের স্মারকলিপি তদন্ত কমিটির কাছে পাঠানো হবে অতঃপর আমরা ভিসি স্যারের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি আমাদের অপেক্ষা করতে বলেন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে, আমরা ধৈর্যশীল অবস্থান থেকে প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর আমাদের মধ্য থেকে সাতজনের এক প্রতিনিধি দল ভিসি স্যারের সাক্ষাৎ করে। ভিসি স্যার আমাদের জানান রবিবারের মধ্যে আমরা ইতিবাচক কোন সমাধান পাবো।  

তিনি আরও জানান, আমরা ভিসি স্যারের বক্তব্যের প্রতি সম্মান রেখে রবিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রবিবারের মধ্যে যদি কোন সুষ্ঠু সমাধান না আসে, তাহলে আমরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের সাথে টোটাল শাটডাউন কর্মসূচি পালন করব।

দাবির বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, যেহেতু শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ নেই সেহেতু তাকে একাডেমিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনতে কোনো বাঁধা নেই। আমরা চেষ্টা করবো বিষয়টি খতিয়ে দেখার। সর্বোচ্চ ১ সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা হবে৷ 


সর্বশেষ সংবাদ