রাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়, অনুসন্ধান কমিটি গঠন
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৬ AM , আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৬ AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে প্রায় ১২ ঘণ্টা প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনাকে ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদারের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতি, জাতীয়তাবাদী সহায়ক কর্মজীবী পরিষদ ও সহায়ক কর্মচারী পেশাজীবী ফোরাম সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট পৃথক পৃথক আবেদন করেছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২ জানুয়ারি সকাল পৌনে ১০টা থেকে কতিপয় শিক্ষার্থী ও অজ্ঞাতপরিচয় বহিরাগত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন তালাবদ্ধ করে কর্তব্যরত উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষসহ প্রায় ২৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটকে রাখে। তারা সেদিন রাত প্রায় পৌনে ১০টা পর্যন্ত তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকে। সে সময় আবেগী ও বিব্রতকর অভিনয়ের মাধ্যমে ছড়ানো হয় প্রোপাগান্ডা, দেওয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি। ভেতরে আটকে থাকা অসুস্থ রোগী, নফল রোজাদার ও সন্তানসম্ভাবা নারীসহ বেশ কিছু মানুষ অসহায় অবস্থায় পড়েন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা সেদিনের সে ঘটনাকে দুঃখজনক, আইনবহির্ভূত, অমানবিক ও ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে ‘সন্ত্রাসীদের’ চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত, প্রশাসনিক এবং একাডেমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও প্রশাসনিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলামকে আহবায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু অনুসন্ধানের মাধ্যমে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে কমিটিকে।
আরো পড়ুন: আবেদনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ইরাসমাস স্কলারশিপের খবর দেওয়া হলো ঢাবি ছাত্রীকে
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়ে পোষ্যকোটা বাতিলের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবির সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর থেকেই আমরা পোষ্যকোটা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবি মানেননি। ফলে ২ জানুয়ারি আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হই। কারণ রোববার থেকে ভর্তির আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। আর মাঝখানে দু’দিন শুক্র ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি থাকে।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি সকাল ১০টায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা দেন আন্দোলনকারীরা। রাত ১০টার দিকে পোষ্যকোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর তালা খুলে দেন তারা। এ আন্দোলনে দুই উপ-উপাচার্যসহ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবরুদ্ধ ছিলেন।