ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হল নির্মাণে সহযোগিতার অঙ্গীকার চীনা রাষ্ট্রদূতের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৫ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৫ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) একটি ছাত্রী হল নির্মাণে সহযোগিতার ব্যাপারে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সোমবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ এ আয়োজন করেন।
‘Analysis of Environmental Sustainable Development and Management in China and Bangladesh’ শীর্ষক বিশেষ বক্তৃতা অনুষ্ঠান অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে অনুষ্ঠিত হয়। চীনের টংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লি ফেংটিং বিশেষ বক্তৃতা দেন।
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রধান অতিথি এবং চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তূজা অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নদী ব্যবস্থাপনা, বায়ু দূষণরোধসহ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চায়। এক্ষেত্রে আমরা চীনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে এসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিক ও পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরো পড়ুন: ছাত্রীদের আবাসনে ঢাবিতে নতুন তিনটি হল, ৩টি বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে বিরাজমান এই বন্ধুত্বপূূর্ণ সম্পর্ক ভবিষতে আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে একটি ছাত্রী হল নির্মাণে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেওয়ায় উপাচার্য চীনা রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ছাত্রীহল নির্মাণে সহযোগিতার ব্যাপারে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ও পরিবেশের উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।