বিক্ষোভের মুখে ঢাবি সিন্ডিকেট সভায় যোগ দেননি আওয়ামীপন্থী ৩ সদস্য
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৫ PM , আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৩ PM
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল নেতা অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুঁইয়া, সাবেক প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও নীল দলের সাবেক নেতা অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ও আওয়ামী লীগ নেতা এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু আমন্ত্রণ পেলেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত যোগ দিতে পারেননি। পরে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ঢাবি সিন্ডিকেটের সভা এই তিনজন আমন্ত্রণ পেয়েছেন— সন্ধ্যার আগে এমন খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিনেট ভবন ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট-ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, ফ্যাসিবাদের সিন্ডিকেট-ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, ডাকসুর রোডম্যাপ- দিতে হবে দিতে হবে, টু জিরো টু ফোর- ফ্যাসিবাদ নো মোর, নিজামের চামড়া-তুলে নেব আমরা, জ্বালো রে জ্বালো-আগুন জ্বালো, নিজামের গদিতে- আগুন জ্বালো একসাথে, চুন্নুর গদিতে-আগুন জ্বালো একসাথে, দিয়েছি তো রক্ত-আরও দেব রক্ত প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব ইমরোজ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে আজকের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি, ফ্যাসিবাদের দোসর, ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ইন্ধনদাতা নিজামুল হক ভুঁইয়া যোগদান করবেন। আমরা চাই না যে ফ্যাসিবাদের কোনো দোসর ছাত্র হামলার মদদদাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় অংশ নিক।
তিনি আরও বলেন, ২য় স্বাধীনতা পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় ফ্যাসিবাদের কোনো দোসরের অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চায় না। শিক্ষার্থীরা চায় না যে ছাত্র হত্যার মদদদাতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করুক।
বিক্ষোভ চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের (৩ আওয়ামীপন্থী সিন্ডিকেট সদস্য) পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে তারা আজকের সভায় আসবেন না।
এসময় শিক্ষার্থীরা আজকের এই সিন্ডিকেট সভায় এক সপ্তাহের মধ্যে যেন ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া হয় সেই দাবি তুললে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ আজকের সিন্ডিকেটে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।
তবে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মী। তারা ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ খানের সাথে কথা বলেন। এসময় মবের চাপে পড়ে যেন এই সিন্ডিকেট ডাকসু নির্বাচনসহ অন্য কোন ধরনের বৃহৎ সিদ্ধান্ত না নেয় সে বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন। অনির্বাচিত সিন্ডিকেটের সভা থেকে এ ধরনের কোন বৃহৎ সিদ্ধান্ত নেয়া হলে ছাত্রদল এটি মেনে নেবেন না বলেও জানান।