রাবি ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার কোটা ৫%, পোষ্য কোটায় ৩%
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ PM , আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনী কোটা বাতিল হলেও রয়ে গেছে মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার কোটা। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার পুত্র-কন্যার কোটা ৫ শতাংশ ও বিতর্কিত পোষ্য কোটায় ৩ শতাংশ আসন বরাদ্দ করেছে ভর্তি কমিটি। সংশ্লিষ্ট কোনো কোটা পূরণ না হলে ওই আসনগুলো শূন্য থাকবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে তথ্যগুলো জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে বিভিন্ন কোটায় ভর্তি প্রক্রিয়া প্রচলিত আছে। বর্তমানে এ কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার বিষয়ে গঠিত কমিটি প্রস্তাবসমূহ অনুমোদনের সুপারিশ করা হলো।
প্রস্তাবসমূহ হলো মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে শুধু মুক্তিযোদ্ধার পুত্র বা কন্যা বিবেচিত হবে। এই কোটা প্রতি বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যার ৫ শতাংশের বেশি নয়। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম বহাল থাকবে। এই কোটার আসন সংখ্যা ৬১ জন। তবে কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউট ২ জনের বেশি নয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটায় প্রতি বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যার ২ শতাংশের বেশি নয়।
আরো বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পুত্র বা কন্যা কোটায় প্রতি বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যার ৩ শতাংশের বেশি নয়। খেলোয়াড় কোটায় বিগত দুই বছরের মধ্যে জাতীয় দলের কোনো খেলায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় বিবেচিত হবে। তবে কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে ১ জনের বেশি নয়।
বিকেএসপি কোটার ক্ষেত্রে পূর্বের নিয়ম বহাল থাকবে। এই কোটায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের নির্ধারিত আসন সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি নয়। সকল প্রকার কোটার ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম পাস নম্বর কোনোক্রমেই শিথিলযোগ্য হবে না। সংশ্লিষ্ট কোনো কোটা পূরণ না হলে আসন শূন্য থাকবে।
উল্লেখ্য, রাবি ভর্তির প্রাথমিক আবেদন আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ১৬ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। চূড়ান্ত আবেদন ২০ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত করা যাবে।
'এ', ‘বি' ও 'সি' এই তিন ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১২ এপ্রিলে 'বি' ইউনিটের (বাণিজ্য) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের ভর্তি পরীক্ষা৷ 'এ' ইউনিটের (মানবিক) পরীক্ষা হবে ১৯ এপ্রিল এবং 'সি' ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৬ এপ্রিল।