জবি ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের ৭ লাখ টাকা ফাউ খাওয়ার অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৫ AM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫২ AM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ায় গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৭ লাখ টাকার বাকি খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মাসুদ জানান, শেষ আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ক্যানটিন থেকে প্রায় সাত লাখ টাকা বাকি খেয়েছেন। সেই টাকা আর দেয়নি। এখন তাদের সবাই পলাতক। ক্যাম্পাসে আসেন না।
ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানান, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাকির হিসাবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরও অন্তত পাঁচ নেতা-কর্মী।
আরও পড়ুন: শাস্তি পেলেন ফরিদপুর মেডিকেল ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৮ জন
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। এদিকে সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসানের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহসভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা। সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরও দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার টাকা ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতা-কর্মীর নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো. মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছেন ছাত্রলীগের এসব নেতা। তারা টাকা দেবেন দেবেন বলে আর দেননি। এর বাইরে আরও অনেকে আছেন যারা টুকটাক খেয়েছেন, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা দিতেন না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যানটিনের ওয়েটাদের মারধরও করেছেন সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।
তিনি আরও বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এত টাকা এখন কীভাবে ওঠাব আর কীভাবে আমি এই ক্ষতি পূরণ করব?
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলের ২০ শিক্ষার্থী ও ১২ শিক্ষকের শাস্তি
অভিযুক্ত ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মীর সবাই পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নিয়মিত স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।