দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে নিউজ প্রকাশ

রাবিতে প্রক্সির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি: তদন্ত কমিটি গঠন 

মেহেদী হাসান সনি (বাঁয়ে ওপরে), ফাহিম আল মামুন বর্ণ (নিচে) ও মো. শোভন (বাঁয়ে দু’জনের পাশে) এবং চারটি অ্যাডমিট কার্ডে ব্যবহার করা একই ব্যক্তির ছবি (ডানে)
মেহেদী হাসান সনি (বাঁয়ে ওপরে), ফাহিম আল মামুন বর্ণ (নিচে) ও মো. শোভন (বাঁয়ে দু’জনের পাশে) এবং চারটি অ্যাডমিট কার্ডে ব্যবহার করা একই ব্যক্তির ছবি (ডানে)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে ভর্তি আছেন বিভিন্ন বিভাগের ৩ শিক্ষার্থী। এ নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর 'রাবিতে চার শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়েছেন একই প্রক্সিদাতা' শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে নিউজ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসলে আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমানকে সভাপতি করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে আছেন আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান ও আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে আছেন উপ-রেজিস্ট্রার এ.এইচ.এম. আসলাম হোসেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের ওই প্রতিবেদনে প্রক্সিকাণ্ডের ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিয়ে  চার জনকে ভর্তি করিয়েছেন একই প্রক্সিদাতা। তাদের মধ্যে তিনজন বিভিন্ন বিভাগের তিন শিক্ষার্থী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন। তারা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস' বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান সনি, আইন বিভাগের ফাহিম আল মামুন বর্ণ, ফিজিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শোভন। নিউজটা প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। 

এ বিষয়ে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, প্রক্সিকাণ্ডের উপর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে নিউজ প্রকাশিত হলে আমাদের নজরে আসে। বিষয়টা মাননীয় উপাচার্যের দৃষ্টিতে আনলে অভিযোগের সত্যতা নিরূপণে তিনি উপর্যুক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। 


সর্বশেষ সংবাদ