ঢাবির সূর্য সেন হল ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের ২ নেতার কাছেই বাকি লক্ষাধিক টাকা 

  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টার দা সূর্য সেন হলের ক্যান্টিনে ১ লাখ ৭৫ হাজার চারশো দুই টাকা বাকি খেয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের কাছে বাকি লক্ষাধিক টাকা। টাকা না দিয়ে তারা পালিয়ে যান।

বৃহস্পতিবার (২৯শে আগস্ট) মাস্টারদা' সূর্য সেন হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির একটি তালিকা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে আসে। সেখানে দেখা যায়, সূর্য সেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, সহ- সভাপতিসহ ফাউ খেয়েছেন আরো ২২ জন। তারা প্রত্যেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

বাকির তালিকায় দেখা যায়, হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিয়াম রহমান বাকি খেয়েছেন ৬৪হাজার ৮শত টাকা। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আরিফের নাম, তার বাকি ৪১ হাজার ২শত টাকা। এ দুজনের কাছে ১ লাখ ৬ হাজার টাকা বাকি।

এছাড়াও, ছাত্রলীগ নেতা ৫১০ নং রুমের সাকিব ২হাজার ৬শত ৪০টাকা, রাসেল ১হাজার নয়শত ৯৫টাকা, ২৩৫ নং রুমের কাওসার ২হাজার ৩শত ৯০টাকা, ৪৬৮ নং রুমের আশরাফুল ২হাজার ১শত ৩৭টাকা,১০৯ নং রুমের শামীম ৩হাজার একশো ২টাকা, ১৭১ নং রুমের অনিক ৩হাজার ১শত ৬০, ৪১৬নং রুমের আব্দুল আহাদ ১হাজার ৫শত ২০টাকা, ৪৩৫ নং রুমের নাহিদ ১হাজার ৮শত ৩৫, ৫২০নং রুমের তালহা ৩হাজার ৬শত ৩০টাকা, ৪২৯নং রুমের রাসেল ২হাজারব ৩শত ৪০, ১৫৮ নং রুমের আহমেদ মুসা ৩হাজার ৫শত ৯৮, ৪১৭নং রুমের রাকিব ১হাজার ২শত ৫০,২৫৫ নং রুমের মাজহারুল ১হাজার ২শত ৫০টাকা, ৪০৯নং রুমের কালবী ৫হাজার ৮শত ১৫, নিপু ১হাজার ৬শত ৯৫, ৪১১নং রুমের মাসুম ৬হাজার ৮৫,২৩৩নং রুমের মাহিন ৩হাজার ৭শত ২৫, ৩৫৫নং রুমের আলী নেওয়াজ তুষার ৭হাজার ৮শত ২০, ৩০১নং রুমের সুজন ১হাজার ৫শত ৫০, ২০২নং রুমের স্বাধীন ২হাজার ৫, ৩৪১নং রুমের রাকিব মুন্সী ৭হাজার ৯শত ৪০টাকাসহ মোট বাকি খেয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ বলেন, দীর্ঘদিন হলের বাহিরে অবস্থান করার কারণে টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। তবে শিঘ্রই টাকা পরিশোধ করে দিবো।

এ বিষয়ে  ক্যান্টিন মালিক ফাহিমের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,  ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে টাকা চাইলে, 'বলে দিচ্ছি '। এভাবে দিনের পর দিন ঘুরায়, কিন্তু টাকা পরিশোধ করে না। তাদের কারণেই আমরা চাইলেও খাবারের মান ভালো করতে পারি না। টাকা গুলো আর কখনো হয়ত ফেরত পাবো না।


সর্বশেষ সংবাদ