গবেষণায় ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পেলেন চবির এক বিভাগের তিন শিক্ষক 

অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুনন্দা বৈদ্য
অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুনন্দা বৈদ্য  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) তিনটি আলাদা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গবেষণায় প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের তিন শিক্ষককে ৬৪ লাখ টাকা সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) ওয়েবসাইটে এ বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।

এতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দাখিলকৃত গবেষণা প্রস্তাব ও আর্থিক বিভাজন শিক্ষাখাতে উচ্চতর গবেষণা সহায়তা কর্মসূচির জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। 

গবেষণায় বরাদ্দ পাওয়া তিন শিক্ষক হলেন- অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সুনন্দা বৈদ্য। প্রকল্প তিনটির গবেষণাকর্ম ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে সম্পাদনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।

অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমানের প্রকল্পটি হলো- ‘Green synthesis of nanoparticles from plant products and nanoformulation of antidiabetic’ এর জন্য তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন ২৪ লাখ টাকা, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হকের গবেষণা প্রকল্পের শিরোনাম ‘Development of Biodegradable Bioplastics from Renewable Resources: Material characterization and performance Evaluation’। তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. সুনন্দা বৈদ্যর গবেষণা প্রকল্প ‘Deciphering the role of methyl transferase like 3 (Mettl3) in immunomodulation of triple negative breast cancer’। তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন ২২ লাখ টাকা।

আতিয়ার রহমান বলেন, এটি আমাদের কাছে মর্যাদা ও সম্মানের বিষয় কেননা এটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ গবেষণা। আমরা যদি সম্পূর্ণভাবে গবেষণাকে কাজে লাগাতে পারি তাহলে ডায়াবেটিস রোগীরা উপকৃত হবেন। একটি গবেষণার সবচেয়ে বড় সফলতা হলো সেটিকে প্রায়োগিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। যে বাজেট পেয়েছি সেটার টার্গেটও তাই। আমাদের চেষ্টা এবং আন্তরিকতায় আশা করছি কাজটি সম্পন্ন হবে।

রেজওয়ানুল হকের প্রকল্পটির বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে প্লাস্টিকের দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর প্লাস্টিক দূষণের মূল কারণ হলো এটা বছরের পর বছর পরিবেশে রয়ে যায় কিন্তু ধ্বংস হয় না। পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে। এর ফলে মানুষ থেকে শুরু করে উদ্ভিদ, প্রাণী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই গবেষণা প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো, প্রাকৃতিক উৎস থেকে এমন প্লাস্টিক তৈরি করা যেটি পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হবে না।

 

সর্বশেষ সংবাদ