ভুল চিকিৎসায় জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৪ PM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪৮ PM
রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে এন্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে ‘ভুল চিকিৎসায়’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী রাহিব রেজার (৩১) মৃত্যুর প্রতিবাদে মানবন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ মানববন্ধনে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসময় তারা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মাহতাব স্বপ্নিল ও ল্যাবএইডের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানান।
মৃত রাহিব রেজা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজধানীর স্টার্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার ও আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মানববন্ধনে মৃত রাহিব রেজার স্ত্রী তাসমিয়া আফরোজ বলেন,'ল্যাবএইডের ভুল চিকিৎসায় আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্ত কমিটির কাছে আমাদের দাবি থাকবে তারা যেনো শুধুমাত্র ল্যাবএইডের বক্তব্যকে প্রাধান্য না দেয়, আমরা যারা পরিবারের মানুষ আছি, রাহিবের বন্ধুরা যারা ছিল তাদের কাছ থেকেও যাতে তথ্য নেওয়া হয়। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে যেন এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমরা এই ঘটনায় ল্যাবএইড এবং ড. স্বপ্নিল দুইজনেরই লাইসেন্স বাতিল চাই।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এস এম সাদাত হোসেন বলেন, ‘ল্যাবএইড এবং ড. স্বপ্নিলের অদক্ষতায় আমাদের যে ছোটভাই মারা গেছে। আমি মনে করি, এটা একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা আশা করি এই ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা সুষ্ঠুভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। আজকের এই মানববন্ধন থেকে আমরা সরকার ও ল্যাবএইডের কাছে রাহিবের পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী কায়েস জানান, ‘আমাদের বড় ভাই(রাহিব রেজা) সাধারণ চিকিৎসা নিতে গিয়ে মৃত হয়ে ফিরে এসেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা সরকারের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এন্ডোস্কপি করতে রাহিব রেজা ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। তার এন্ডোস্কপি করার চিকিৎসক ছিলেন ড. মাহতাব স্বপ্নিল। এন্ডোস্কপি করার পরপরই অ্যানেসথেসিয়ার কারণে তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আইসিইউতে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়।