ঢাবির বটতলায় ইসলামি গানের আসর
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২১ PM , আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৯ PM
মঞ্চে ধ্বনিত হচ্ছে নজরুল গীত “আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী, দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী, জুলুম নিল বিদায়”। কিছু যুবক একসাথে গাইছেন “ইয়া নাবি সালামুয়ালাইকা, ইয়া রাসুল সালাময়ালাইকা” – অতঃপর উপভোগ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার পরে আগত শতশত দর্শকদের হালুয়া রুটির আতিথেয়তা। এভাবেই বাঙালি মুসলিমের শত বছরের ঐতিহ্য শবে বরাত উদযাপন করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন আরবী সাহিত্য পরিষদ ।
শবে বরাত উপলক্ষ্যে (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ইসলামি সংগীতের আসর ও মিলাদ পাঠের আয়োজন করে সংগঠনটি। থেমে থেমে ইসলামি সংগীত, মিলাদের পাশাপাশি বাঙালি মুসলিম ইতিহাসের বয়ান শোনালেন সংস্কৃতিমনা শিক্ষার্থীরা ।
আয়োজকরা জানান, শত বছরের বাঙালি সংস্কৃতিতে উজ্জিবিত করতেই এমন আয়োজন তাদের। মুসলমানদের দুই ঈদের মতোই শবে বরাতকে মুসলিম জাতি একটি পবিত্র দিন হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে পালন করে আসছে। দিল্লির সালতানাত থেকে ঢাকার নবাব দরবার হয়ে বাঙালি মুসলমানরা উচ্ছাসের সাথেই এদিনকে স্মরণ করে। ফলে প্রাচীন রীতি-রেওয়াজের সাথেই দিবসটিতে মিলাদ-মাহফিলের পরে হালুয়া রুটির ব্যবস্থা রাখা হয়।
আরবি সাহিত্য পরিষদের সভাপতি আশিক বিল্লাহ বলেন, আমাদের এই আয়োজন অনেক পুরনো। গত কয়েক বছর থেকেই ছোট পরিসরে আমরা এ আয়োজন করে আসছি। এবার আরেকটু বড় পরিসরে করার চেষ্টা করলাম এবং আমাদের প্রত্যাশা থেকেও বেশি সাড়া পেয়েছি। আগামী দিনগুলোতেও বাঙালি মুসলমানদের সকল ধর্মীয় সাংস্কৃতিক উৎসব পালন করার কথা জানান তিনি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন আমরা করলাম তা একদিনের নয়। বরং তা বাঙালি মুসলিমের শতবছরের ঐতিহ্য। আমরা চেয়েছি আমাদের ঐতিহ্যকে চর্চা করতে যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করে থাকে।
শবে বরাত উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসহ হলগুলোতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন পরবর্তী হালুয়া রুটির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং টিএসসিতে নানা আয়োজন করা হয়।