শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করায় ঢাবি ছাত্রীকে হুমকি

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে একই ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত ১১ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগপত্র দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরবর্তীতে ৪ ডিসেম্বর উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ তুলে নেওয়ার হুমকি প্রদান করলে পুনরায় ৬ ডিসেম্বর হুমকির বিষয় উল্লেখ করে উপাচার্য বরাবর আবারও লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী। 

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী ঢাবির ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, গত  ৪ ডিসেম্বর  আমার মিডটার্ম পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে আমার চলমান কোর্স (১০৪) শিক্ষিকা ‘তানিয়া রহমান’ ম্যাম আমাকে  জোরপূর্বক উনার রুমে নিয়ে গিয়ে ১১ সেপ্টেম্বরে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তারিত শোনেন এবং আমাকে পরোক্ষভাবে হুমকি দেন, বলতে থাকেন আমি ভিসি বরাবর অভিযোগ করে ভুল করেছি। কথার মাঝেই তিনি মুঠোফোনে ‘মাহবুবা সুলতানা’ ম্যামকেও রুমে ডাকেন। তারা বলেন, এমন ঘটনা ইনস্টিটিউটে আগে কখনো ঘটে নি। ঘটনার সত্যতা জানতে আমাকে নানাভাবে প্রশ্ন করে হেনস্তা করেন এবং মানসিক চাপ প্রয়োগ করলে আমি কান্নায় ভেঙে পরি। তানিয়া রহমান ম্যাম আরও বলেন, ‘তোমার কোনো গোপনীয়তা নেই, সবাই তোমাকে নিয়ে কানাঘোষা করছে, সবার হয়ে লড়তে গিয়ে তুমি নিজেই এখন বলির পাঠা; তুমি বোকা।’ এসব নানা ধরনের কথা বলেন। 

আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের দেওয়া ‘কালো কাপড়’ সরালো ছাত্র ইউনিয়ন

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জোরপূর্বক আমাকে রুমে নিয়ে গিয়ে পরোক্ষভাবে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয় এবং অফিস থেকে পারিবারিক তথ্য সংগ্রহ করে আমার এলাকার লোকজন দিয়ে আমাকে হেনস্তা করার কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সমাজ কল্যাণ ইনস্টিটিউটের যেসকল শিক্ষার্থী আমাকে সমর্থন করেছে সেসকল শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. তানিয়া রহমান এবং অধ্যাপক মাহবুবা সুলতানার ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।


সর্বশেষ সংবাদ