চবির সেই কর্মকর্তার ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে মিলে গেল ছেলের ফল

  © সংগৃহীত

‘এ’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক কর্মকর্তার ফেসবুকে করা পোস্টের সঙ্গে মিলে গেল ফলাফল। আজ সোমবার (২২ মে) প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, আগের দিন রবিবার ফেসবুকে পোস্ট করা সেই তথ্য সত্য। ওই কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশিট শাখার উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে কর্মরত আছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুক পোস্টে লেখা নাম, মেধাতালিকা সবই প্রকাশিত ফলাফলের সাথে মিলে গেছে। এ  বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিশ্ববিদ্যাললে তৈরি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। 

গতকাল রাতে ফেসবুক পোস্টে ওই কর্মকর্তা লেখেন, 'আলহামদুলিল্লাহ। আমার ছেলে আবীর চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিট (সায়েন্স ফ্যাকাল্টি) ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১৬৯৬ এবং কোটা তালিকায় ৩য় হয়েছে। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।' তবে পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা সরিয়ে নেন তিনি। 

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে আজ সোমবার সকালে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে ওই কর্মকর্তাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমদ বলেন, তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাবের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে পোস্ট করার পরেও শোকজ করতে তিন কার্যদিবস সময় দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। তাকে তো সময় দিতে হবে। কর্তৃপক্ষ চাইলে একসপ্তাহ সময়ও দিতে পারে আবার চাইলে একদিন সময়ও দিতে পারে। 

বিষয়টি নিয়ে এ ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, সে কীভাবে ফলাফল পেলো, কে তাকে দিলো এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। দোষ প্রমাণিত হলে পরবর্তী তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া হবে।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি চবির 'এ' ইউনিটের ফলাফলে কারচুপি হয়েছে। হয়তো একটি বিষয় সামনে এসেছে কিন্তু এমন আরো অনেক কিছুই ঘটেছে যা অগোচরে রয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কশীট শাখায় উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর ছেলে আবীর চৌধুরী ‘এ’ ইউনিটে ১ হাজার ৬৯৬তম হয়েছেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৮৮.৭৫।


সর্বশেষ সংবাদ