ঢাবির আইইআরে র্যাগিংবিরোধী কাউন্সিলিং শুরু
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ০৯:০৮ PM , আপডেট: ১৫ মে ২০২৩, ০৯:৩৭ PM
র্যাগিং এবং বুলিংয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অন্যদের প্ররোচনায় র্যাগিং এ জড়িয়ে পড়া থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে সচেতনতামূলক র্যাগিং বিরোধী কাউন্সিলিং শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর)।
রবিবার (১৪ মে) থেকে শুরু করে আগামী ১৮ই মে পর্যন্ত চলবে এই কার্যক্রম—জানিয়েছে আইইআর বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বিভাগের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই কাউন্সিলিং কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে। স্নাতক প্রথম বর্ষ থেকে শুরু মাস্টার্সে অধ্যয়নরত প্রতিটি বর্ষের শিক্ষার্থীদের আলাদা আলাদা এই কাউন্সিলিং করা হচ্ছে।
আইইআর প্রশাসনের এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান বলেন, আমরা অনেক সময় না বুঝেই র্যাগিংয়ের সাথে জড়িয়ে যাই। তবে আইইআরের এই উদ্যোগের মাধ্যমে র্যাগিং সম্পর্কে নিজেদের সচেতন করতে পেরেছি। আশা করি আমরা এই ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস তৈরিতে একধাপ এগিয়ে যাব।
র্যাগিং বিরোধী কাউন্সিলিং এখনও প্রাথমিক অবস্থায় আছে জানিয়ে আইআর-এর অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের এই কাজ এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারলে তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগ এবং ইনস্টিটিউটে এমন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরামর্শ দিব। তবে আমরা আশাবাদী এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা সবাইকে সচেতন করে র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে পারব।
এ নিয়ে আইইআর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য গঠন করা হয়েছে নতুন কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ব্যাচ ভিত্তিক কাউন্সিলিং প্রোগ্রাম যেমন, বুলিং এবং র্যাগিং বিরোধী প্রচারণা, বিষয় ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন এবং সেমিনারের আয়োজন করা। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহায়তায় রাখা হয়েছে গাইডেন্ড এন্ড কাউন্সিলিং সেল। স্টুডেন্ট এডভাইজার হিসেবে শিক্ষার্থীদের সেবা দিবে চারজন মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ।