প্রতিবাদে ৮ বাস আটক

হেলপারের ধাক্কায় বাস থেকে নামতে গিয়ে গুরুতর আহত জাবি ছাত্র

  © টিডিসি ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জয় বাংলা গেট সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাস থেকে নামতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাকে রাজধানীর শ্যামলীতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৫ মে) সকালে এ ঘটনার পর দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভার পরিবহনের ৮টি বাস আটকে রাখেন একদল শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর নাম হাসান মাহমুদ। তিনি গণিত বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।

জানা যায়, আজ সকাল সোয়া দশটার দিকে নবীনগর থেকে সাভার পরিবহনের একটি বাসে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন তিনি। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় বাসের হেলপারকে বাস থামিয়ে তাকে নামার সুযোগ করে দিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক সংলগ্ন বাস স্টপেজে বাস থেকে তিনি পুরোপুরি নামার আগে তাকে ধাক্কা দিয়ে বাস ছেড়ে দিলে তিনি পড়ে যান। এতে পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত পান। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর একটি শিশু হাসপাতালে তার নিকট আত্মীয় থাকায় সেখানে নিয়ে যান। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বেলায়েত হোসেন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে রেফার করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ বলেন, আমি নবীনগর থেকে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম সাভার পরিবহনের একটি বাসে। আমার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় বাস থামার পরে আস্তে আস্তে নামতে থাকি।  কিন্তু হেল্পার তাড়াহুড়ো করে নামেন নামেন করে আমাকে অর্ধেক নামিয়ে ধাক্কা দেয়। এতে আমি রাস্তায় পড়ে মারাত্মকভাবে পায়ে আঘাত পাই। আমি স্বাভাবিকভাবে চলতে ফিরতে পারছিনা। আমি খুব অসহায়বোধ করছি।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা ও শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচ সাভার পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করার দাবি জানিয়েছেন।

আটককৃত সাভার পরিবহনের এক চালক হাসান মিয়া বলেন, সকালে একটি বাস থেকে এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে শুনেছি। এজন্য আমাদের বাস আটকে রেখেছে। দুপুরের মধ্যেই মালিকপক্ষ আসার কথা। তবে এখনও আসছে কিনা জানি না। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছি। আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি৷ রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য আমাদের ছাত্র এই দুর্ঘটনার শিকার৷ তাই তার চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। মালিকপক্ষ আসলে এ বিষয়ে আমরা তাদের সাথে কথা বলবো।


সর্বশেষ সংবাদ